ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় ৪০ গ্রাম প্লাবিত

ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় ৪০ গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ভারতের বিহার অঞ্চলে বাংলাদেশ সীমান্তের উপরে দেয়া ফারাক্কা বাঁধের এক’শ গেট খুলে দেয়ার প্রভাব পড়েছে কুষ্টিয়ায়। বাংলাদেশে পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বাড়ছে হু হু করে। পদ্মা নদীতে হার্ডিঞ্জ সেতু এলাকার পানি বিপদ সীমা ছুঁইছুঁই করছে।


ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার ফলে পদ্মায় পানি বেড়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৫টি ও ভেড়ামারা উপজেলার কয়েকটিসহ প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৪৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিনযাপন করছেন।


কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নৈমূল হক জানান, “যে গতিতে পানি বাড়ছে তাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আমাদের টিমের সদস্যরা সার্বক্ষিণিকভাবে মনিটরিং করছে।”


কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পদ্মানদীতে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শুক্রবার বেলা ৩টায় পানি প্রবাহিত হয় ১৪ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার। সন্ধ্যায় সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পানি প্রবাহিত হয় ১৪ দশমিক ০৯ সেন্টিমিটার।


১৮ আগস্ট এ পানির মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। ১৯ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ২৫ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ায় গড়াইয়ের হরিপুর গ্রামে ভাঙনও বাড়ছে।


কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, ভারত তাদের ফারাক্কা বাঁধের শতাধিক দরজা খুলে দিয়েছে। এতে পদ্মায় পানি বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে পানি বাড়া কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। নদী ও নদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বাঁধে সব সময় নজর রাখা হচ্ছে।


দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মেদ বলেন, “পদ্মায় আকস্মিকভাবে পানি বাড়ায় চিলামারির সবগুলো গ্রাম (১৮টি) প্লাবিত হয়ে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধান, পাট ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি প্রতিনিয়তই বাড়ছে।”


কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুজিব উল ফেরদৌস জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের পুরো বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে চিলমারি ইউনিয়নে ৬ টন চাল দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তত আছে। প্রয়োজনে চালসহ অন্যান্য ত্রাণ সরবরাহ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি