আলতাফ মাহমুদ: পাহাড়সম দৃঢ়তায়, সমুদ্রের মৌন বিনম্রতায়

আলতাফ মাহমুদ: পাহাড়সম দৃঢ়তায়, সমুদ্রের মৌন বিনম্রতায়

শহীদ আলতাফ মাহমুদের অন্তর্ধান দিবস

আলতাফ মাহমুদ: পাহাড়সম দৃঢ়তায়, সমুদ্রের মৌন বিনম্রতায়


শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ:১৯৭১ সাল। ৩০ আগস্ট। ভোরবেলা। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উল্টোদিকের একটি বাড়ি। ৩৭০ আউটার সার্কুলার রোড। পাকিস্তানি বাহিনী ঘিরে রেখেছে বাড়িটি। দলনেতা বাসার ভেতরে ঢুকে জিজ্ঞেস করল, ‘আলতাফ মাহমুদ কৌন হ্যায়?’ আলতাফ মাহমুদ বাসায়ই ছিলেন। সামনে এসে নির্ভয়ে বললেন, ‘আমি।’ এই বাসাটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন আস্তানা। পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে নিয়ে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা গোলাবারুদ ও অস্ত্রের দুটি বড় বাক্স উদ্ধার করে তারা। ধরে নিয়ে যায় আলতাফ মাহমুদকে।


প্রথমে তাকে ধরে নিয়ে রাখা হয় রমনা থানায়। সেইসময় রমনা থানা থেকে ফিরে আসা একজন বন্দীর কাছ থেকে জানা যায়, তাকে বন্দী অবস্থায় প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর চোখ বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তিনি জানেন না কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যসহ কেউ আর তার খোঁজ পাননি। বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতের আংটিটি তার শ্যালককে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা ঝিনু ও শাওনকে দিয়ো। ওদের জন্য তো কিছু রেখে যেতে পারলাম না। দেশের মানুষ আছে ওদের জন্য।’ এই ছিলো তার শেষ কথা। এরপর আলতাফ মাহমুদের কথা আর কোনো বাঙালি শোনেনি। পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর দেশাত্মবোধক গান প্রচারিত হতে থাকে যা অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে অনুপ্রারিত করেছিল।


বাংলাদেশকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে জন্ম নিয়েছেন বহু গুণীজন। তেমনিই এক গুণীজন আলতাফ মাহমুদ। অনেকেই তাকে ‘সুরের বরপুত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।  গানের সাথে তার সখ্যতা শৈশব থেকেই। ছাত্র থাকা অবস্থায় ছবি আঁকা ও গান গাওয়া এই দুই শিল্পসাধনায় আপন মগ্নতার পরিচয় রাখেন সাংস্কৃতিক আবহে। ছবি আঁকা আর গান গাওয়ার পাশাপাশি বেহালাও খুব ভালো বাজাতে পারতেন তিনি। বাঁশি বাজাতেন সুমধুর,তবলাতেও হাত ছিল বেশ। অভিনয়ও করেছেন কখনও।


আলতাফ মাহমুদ ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদী থানার অন্তর্গত পাতারচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নাজেম আলী হাওলাদার। মা কদ বানু। পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান আলতাফ মাহমুদ। তার বাবা প্রথমে আদালতের পেশকার এবং পরবতীর্তে জেলা বোর্ডের সেক্রেটারি ছিলেন। আলতাফ মাহমুদ ১৯৪৮ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে তিনি মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করে বিএম কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। বেশি দিন পড়াশোনা করা হয়নি তার। কলকাতা আর্ট কলেজে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। পরে তিনি চিত্রকলা শিখতে ক্যালকাটা আর্টস স্কুলে গমণ করেন। কিন্তু এখানেও তিনি কোর্স শেষ করেননি। বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায়ই মাহমুদ গান গাইতে শুরু করেন। তিনি প্রসিদ্ধ ভায়োলিন বাদক সুরেন রায়ের কাছে প্রথম সঙ্গীতে তালিম নেন।


১৯৪৮ সাল থেকে তিনি গণসঙ্গীতের দিকে ঝুঁকে পড়েন। নিজামুল হকের সাহচর্যে আলতাফ মাহমুদ সত্যিকারের পথ খুঁজে পান গণসঙ্গীতের যা ঐ সময় তাঁকে অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও বিপুল খ্যাতি এনে দেয়। বরিশালের এক জনসভায় ‘ম্যায় ভূখা হু’ গানটি গেয়ে আলতাফ মাহমুদ রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সারা বাংলায় কীভাবে সঙ্গীতের মাধ্যমে জনগণকে অধিকার সচেতন করে তোলা যায়,তাদের স্বাধিকারের বাণী শোনানো যায়,সে চিন্তায় মগ্ন থাকতেন নিজামুল হক ও আলতাফ মাহমুদ।


১৯৬৬ সালের ১৬ অক্টোবর বিয়ে করেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম সারা আরা। সারা আরা’র বিল্লাহ পরিবারের বড় মেয়ে। ডাকনাম ঝিনু।  বিল্লাহ পরিবারের সব সদস্যই সংস্কৃতিমনা। আলতাফ মাহমুদের সাথে বিয়ের পর বিল্লাহ পরিবারের সারা আরা হয়ে যান সারা আরা মাহমুদ। আলতাফ মাহমুদের সাথে সারা আরার বয়সের ব্যবধান অনেক। তাদের যখন বিয়ে হয় সারা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আলতাফ মাহমুদের বয়স তখন ৩৫-৩৬ বছর। বিয়ের প্রস্তাব এলে সারার পরিবারের সদস্যরা বয়সের বিশাল দূরত্বের জন্য প্রথমে অসম্মতি জানান। কিন্তু বেগম সুফিয়া কামালের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর দু’জনের দাম্পত্যজীবনের পরিধি ছিল মাত্র ৫ বছর। বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় একমাত্র মেয়ে শাওন।


১৯৫০ সালে আলতাফ মাহমুদ ঢাকায় আসেন এবং ধুমকেতু শিল্পী সংঘে যোগ দেন। পরবর্তীকালে তিনি এই সংস্থাটির ‘সঙ্গীত পরিচালক’ পদে আসীন হন। ১৯৫০ সালের দিকে তিনি ভাষা আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় গণসঙ্গীত গাইতেন। গান গাওয়ার মাধ্যমে মাহমুদ এই আন্দোলনকে সর্বদাই সমর্থন যুগিয়েছেন। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো শিরোনামের আলোড়ন সৃষ্টিকারী গানটিতে সুর সংযোজন করে খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করেন।


১৯৫৪ সালে “ভিয়েনা শান্তি সম্মেলনে” মাহমুদ আমন্ত্রিত হন, কিন্তু করাচিতে পাকিস্তানী সরকার তাঁর পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় তিনি এখানে যোগ দিতে পারেননি। তিনি ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত করাচিতে ছিলেন এবং ওস্তাদ আব্দুল কাদের খাঁ’র কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বিষয়ক তালিম নিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি নৃত্য পরিচালক ঘনশ্যাম এবং সঙ্গীত পরিচালক দেবু ভট্টাচার্য্যের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।


করাচি থেকে ঢাকা ফেরার পর আলতাফ মাহমুদ ১৯টি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেয়া, ক্যায়সে কাহু, কার বউ, তানহা, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, দুই ভাই, সংসার, আঁকাবাঁকা, আদর্শ ছাপাখানা, নয়নতারা, শপথ নিলাম, প্রতিশোধ, কখগঘঙ, কুচবরণ কন্যা, সুযোরাণী দুয়োরাণী, আপন দুলাল, সপ্তডিঙ্গা প্রভৃতি। এছাড়া তিনি রাজনীতি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার সাথেও জড়িত ছিলেন।


১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট। পাক বাহিনী আলতাফ মাহমুদকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। ওইদিন এবং পরদিন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তার বাসায় ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এর ফলে হারিয়ে যায় মূল্যবান অনেক জিনিস ও তার গানের পাণ্ডুলিপি। একাধিক সাক্ষাৎকারে শাওন মাহমুদ জানান, ‘বাবাকে যখন পাক বাহিনী ধরে নিয়ে যায়,তখন আমি খুব ছোট। মায়ের মুখ থেকে শুনেছি,বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পাক বাহিনী আমাদের বাসায় ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। পরদিনও তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে আমাদের বাসায় আসে। ওইদিনও তারা বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করার পাশাপাশি গানের পাণ্ডুলিপিগুলো জ্বালিয়ে দেয়। এর ফলে বাবার ব্যবহৃত তেমন কিছুই আমরা সংরক্ষণে রাখতে পারিনি।’


ছোটবেলা থেকেই বাংলা সংস্কৃতি চর্চা করতেন আলতাফ মাহমুদ। তার সুর করা অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।  সংগীত জীবনের গোড়া থেকেই, জীবনের পুরোটা সময় আলতাফ মাহমুদ অন্যায়ের প্রতিবাদ আর দেশের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তবে সকল কাজের মূল সূত্র ছিল সংগীত। ১৯৫০ সালের গোড়ার দিকের কোনো একটা সময় তিনি বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। শুরু হয় জীবনের আর এক অধ্যায়। আলতাফ মাহমুদকে একান্ত করে পায়নি কেউ, অথচ তিনি সবার জন্যই ছিলেন। পূর্ববাংলার চলচ্চিত্রধারায় সংগীতের উচ্চমান রচিত হওয়ার পিছনে তাঁর অবদান প্রধানতম। এর পাশাপাশি ধারাবাহিকতায় তিনি কাজ করতে থাকেন দেশ ও মানুষের জন্য।


১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রির ভয়াবহতা পরিবারের সবাই মিলে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তারা দেখেছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর অপরিমেয় নিষ্ঠুরতা। এই পটভূমিতে এটা অনিবার্য ছিলো, মুক্তিযুদ্ধে আলতাফ মাহমুদ সম্পৃক্ত হয়ে যাবেন।


এবার শুধু সঙ্গীত নয়, সক্রিয় যুদ্ধে তিনি হাজির হলেন। আত্মবিলাপী বিনম্রতায় ভিতরে ভিতরে তিনি কাজ করতে শুরু করেন একটি স্বাধীন স্বদেশ, স্বাধীনতার জন্য। সাম্যবাদী ধ্যান-ধারনা যা আলতাফ মাহমুদের রক্তের মধ্যে মিশে ছিলো। হয়তো  তাই তিনি সমাজ বিপ্লব ও স্বাধীনতার ডাকে জীবন উৎসর্গ করতে পিছপা হননি।


কেউ জানতো না-পাহাড়সম দৃঢ়তা নিয়ে মানুষটি ভিতরে ভিতরে স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রমে আলতাফ মাহমুদের বাড়িটা একাত্তরের দূর্গ বাড়ি হয়ে ওঠে। সেখানে ঢাকা শহরের একাধিক ছোট ছোট গেরিলা গ্রুপের যোদ্ধারা কেউ কেউ এসে জড়ো হতেন। তারা ঐখানে বসে এ্যাকশনের জন্য আগে-পরে অনেককিছুই আলাপ করে নিতেন। ধীর স্থির আলতাফ মাহমুদ ছিলেন ঐ কেন্দ্রের প্রাণ। সমুদ্রের মৌন নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছিলেন।


যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেই যে মুক্তিযুদ্ধের গান লেখা হচ্ছে গাওয়া হচ্ছে-এটা সকলকে জানানো প্রয়োজন ছিলো। তাই তিনি প্রকান্ড বধ্যভূমিতে সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেন-গলায় গান,হাতে অস্ত্র। তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ভালোভাবে চলছিল। প্রতিদিন প্রায় একই গান বাজাত। আলতাফ মাহমুদ এ কারণেও নতুন গানের প্রয়োজন অনুভব করতেন। দূর্গ বাড়িটার জানালা দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যই গান লিখতেন আবদুল লতিফ, সুর দিতেন আলতাফ মাহমুদ। রেকর্ড শেষে গানের পাতা ছিঁড়ে ফেলা হতো। মাঝে মাঝে গানও লিখতেন তিনি কিন্তু গলা খুলে গাইতে পারতেন না। এভাবেই চলছিল সব।


কিছু কিছু গান তিনি দুবার রেকর্ড করান। প্রথমদিকে আলতাফ মাহমুদের ১২টি গানের একটি স্পুল নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় একজন ধরা পড়লে তার মৃত্যু হয়। সেই স্পুলটি আর পাওয়া যায় নি। জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি আবার অনেকগুলো গান রেকর্ড করে দুটো বড় স্পুল তিনি স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্রের জন্য পাঠান।


আগস্টের প্রথম থেকে তিনি ঢাকার ক্র্যাক প্লাটুন-এর সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত হোন। ৩০ আগস্ট, ভোর ৫ টায় ট্রাকবোঝাই পাকিস্তানি সৈন্যদল এসে ঘেরাও করে আলতাফ মাহমুদের বাসা। ধরে নিয়ে যায় আলতাফ মাহমুদকে।


এরপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি স্বাধীন বাংলাদেশের এক অকুতোভয় বীর সন্তানকে। সত্যিই কী তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি? হ্যা। তার দেহটি হয়তো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার সৃষ্টি? ওগুলো কী কোনদিন কোন অপশক্তি ধ্বংস করতে পারবে?


আলতাফ মাহমুদ আছেন, থাকবেন। পৃথিবী তাকে ভুলবেনা কোনোকালে। যতোদিন এ পৃথিবী বাঁচবে ততোদিন বাঁচবেন তিনি। তার সৃষ্টি। তার কর্ম। সারা বিশ্ববাসী গাইবে তার-ই সুর করা অসংখ্য গান। যেমনটি প্রতি ফেব্রুয়ারী জুড়ে আমরা গেয়ে উঠি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কি ভুলিতে পারি…’


বাংলা সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে আলতাফ মাহমুদকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সংস্কৃতিক্ষেত্রে আবদান রাখায় শহীদ আলতাফ মাহমুদকে ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করা হয় এবং তাকে স্মরণ রাখতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন।


আজ ৩০ আগস্ট। আলতাফ মাহমুদের অন্তর্ধান দিবস। ভাষা সৈনিক,সাংস্কৃতিক কর্মী,সুরকার ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ-কে আমরা স্মরণ করছি। তার প্রতি রইলো অবনত চিত্তে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।

[শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: প্রধান সম্পাদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কম]

jsb.shuvo@gmail.com

প্রধান সম্পাদক