পাকিস্তান অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক:একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে পাকিস্তানের অযাচিত প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে আসন্ন সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
…
আগামী ৮ থেকে ১১ নভেম্বর পাকিস্তানে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে অংশ নাও নিতে পারেন।
…
বাংলাদেশে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া ও কয়েকজন অপরাধীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হবার পর পাকিস্তানের অযাচিত প্রতিক্রিয়া আর হস্তক্ষেপের জন্যই প্রধানমন্ত্রী সার্ক সম্মেলনে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক।
…
পত্রিকাটি আরও জানায়, পাকিস্তানের এবারের সার্ক সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সবুজ সংকেত দেয়া হয়। এরপর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করে। নিয়মানুযায়ী সার্কের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মতির ভিত্তিতেই সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের দিন তারিখ নির্ধারিত হয়ে থাকে।
…
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক শীতল পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে কোনো সফর বিনিময় হয়নি।
…
সম্প্রতি ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ যাননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে হাইকমিশনার ও অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সর্বশেষ দীর্ঘ ছয় বছর পর কয়েকবার পিছিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকের দিন নির্ধারিত হয়। ২৪ ঘন্টা আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তার ঢাকা সফর বাতিল করেন।
…
এছাড়া সর্বশেষ মীর কাসেম আলী, এর আগে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লার মত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হবার পর প্রতিক্রিয়া দেখায় পাকিস্তান। এ নিয়ে ঢাকা ও ইসলামাবাদে দফায় দফায় তলব ও পাল্টা তলব চলে। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক কর্মকর্তা নানা অপরাধে জড়িয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়েন। সরকার আইনি ও কূটনীতিক পদক্ষেপ নেয়।
…
পাল্টা হিসেবে ইসলামাবাদে একাধিক বাংলাদেশি কূটনীতিককে নিরাপত্তা হুমকিসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বরাবরই বৈরি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ করে আসছে।