বাতিল করা হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক
অবশেষে বাতিল হলো বিএনপি জোট সরকারের আমলে জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পদক। সরকারের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের তালিকা থেকেও জিয়াউর রহমানের নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। পদক বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের পর ৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) জাতীয় জাদুঘর থেকে পদকটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন উপসচিব মর্যাদার কর্মকর্তা বুধবার দুপুরে জাদুঘরে গিয়ে পদক নিয়ে এসেছেন। এদিকে জিয়ার পদক বাতিলের পর ২০০৩ সালে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের তালিকায় এখন কেবল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামই রয়েছে।
এর আগে গত মাসের শেষ দিকে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদকটি বাতিলের সুপারিশ করে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত সুপারিশটি অনুমোদন করার পর বুধবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হয় বলে জানা গেছে।
তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রের বেসামরিক সর্বোচ্চ সম্মান মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার সরকারের ওই পদক্ষেপ জিয়াকে ওপরে তোলার চেষ্টা হিসেবে দেখে জাতির জনককে অবমাননার তীব্র সমালোচনা তখন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ওই সময় পদক প্রত্যাখ্যান করা হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধু পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে কেউ পদক নিতে যাননি।
পরে ওই বছর স্বাধীনতা পদক দুই পরিবারের কোনও উত্তরাধিকারের হাতে হস্তান্তর না করে সংরক্ষণের জন্য জাতীয় জাদুঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই পদক দু’টি জাদুঘরে রয়েছে। ২০০৩ সালে দেওয়া এ পদক জাদুঘরের গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হলেও পরে তা গ্যালারি থেকে সরিয়ে স্টোর রুমে রাখা হয়।