মেয়র ‘আনিসুল হক’-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
সুমন্ত আসলাম: রাস্তাটা দিয়ে কোনো মন্ত্রী যেতেন না, কোনো জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদকও যেতেন না। যেতেন না কোনো ক্ষমতাশালীও। তাই কোনো খবর ছাপা হতো না এই রাস্তাটির—ট্রাক, লরি আর ছোট-খাটো যানবাহনে জমাট হয়ে থাকত এটা। মানুষের জন্য রাস্তা, মানুষ হাঁটতে পারত না! বরং হাঁটতে গেলেই থেমে যেতে হতো বারবার—মানুষের লাম্পট্যে, বর্বরতায়। চাক্ষুস প্রমাণ আছে আমার কাছে। মেয়েটির চিৎকার এখনো কানে বাজে। আনিসুল হক মেয়র হলেন, তার ডায়নামিক ক্ষমতায় রাস্তাটা মুক্ত হলো। আমরাও সেই রাস্তায় চলতে পারছি আনন্দ নিয়ে।
.
আমরা আরো আনন্দ পাচ্ছি—তিনি সেই রাস্তায় ডিভাইডার করেছেন, চমৎকার কিছু গাছ লাগিয়েছেন। আমার মেয়ের কপালের টিপের মতো সুন্দর দেখাতো সেই গাছের ছোট ছোট ফুল। . আজ সেই রাস্তা দিয়ে আসার সময় দেখি—সব গাছ প্রায় শুকিয়ে গেছে, সবুজ হয়ে যাচ্ছে ধূসর। মনটা খারাপ হয়ে গেল ভীষন। গাছপাগল এই আমি কাতর হয়ে গেলাম গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে।
.
সম্ভবত এই স্ট্যাটাস ‘আমাদের আনিসুল হক’-এর নজরে আসবে না। যদি কারো একটুও যোগোযোগ থাকে তার সাথে, তাহলে ব্যাপারটা জানিয়ে দেবেন। কারণ গাছ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে! গাছ আমাদের পরম বন্ধু!
.
[সুমন্ত আসলাম: সহযোগী সম্পাদক, দৈনিক সমকাল]