‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’-র যাত্রা শুরু

‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’-র যাত্রা শুরু

এসবিডি নিউজ24 ডট কম, চট্রগ্রাম ব্যুরো: প্রথমবারের মতো ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক অ্যাটাক অত্যাধুনিক সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন যুগে পদার্পণ করল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ১২ মার্চ (রোববার) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে সাবমেরিন দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে সাবমেরিন দুটির কমিশনিং করতে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গাস্থ নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে পৌঁছান। সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


দেড় হাজার কোটি টাকায় চীন থেকে সংগ্রহ করা হয় এই দুটি সাবমেরিন। চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপ ইয়ার্ডে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন চীনের রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জি ঝু। তবে হস্তান্তরের আগে লিয়াওনান শিপ ইয়ার্ডে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে ডুবোজাহাজ দুটির সামরিক ক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাবমেরিন দুটি নতুন নাম পেল। বাংলাদেশ ও চীনের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ ও ‘সি ট্রায়াল’ শেষে গত ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি চট্টগ্রামে আসে।


চীন থেকে কেনা ০৩৫ জি ক্লাসের কনভেনশনাল সাবমেরিন দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন যার প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭.৬ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত সাবমেরিন দুটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট এক হাজার ৬০৯ টন। নৌবাহিনীর এ দুটি যুদ্ধযান শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম। সাবমেরিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন আহমেদ বলেন, দু’টি সাবমেরিন সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করলো। নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী করা এবং বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত সাগর এলাকা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাহারা দেয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনে এসব সাবমেরিন চীন থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক