ফিলিপাইনে টেম্বিন ঝড়

ফিলিপাইনে টেম্বিন ঝড়

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গ্রীষ্মকালীন টেম্বিন ঝড় এবং এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসে  শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের কয়েকটি অংশে টেম্বিন ঝড়ের প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের এ ঘটনায় বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। মিন্দানাওয়ের তুবোদ ও পিয়াগাপো নামের শহর দুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু বসতবাড়ি পাথরের নিচে চাপা পড়েছে।


ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে মিন্দানাওয়ের ওপর দিয়ে টেম্বিন ঝড় পার হচ্ছে এবং আরো দক্ষিণের পালাওয়ান দ্বীপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রায়ই গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের কবলে পড়ে ফিলিপাইন। যদিও মিন্দানাও দ্বীপে ঝড়ের আঘাত খুব বেশি দেখা যায় না কিন্তু এবার দ্বীপটি লণ্ডভণ্ড করে গেছে টেম্বিন ঝড়। টেম্বিন ঝড় ফিলিপিনোদের মধ্যে ‘ভিন্তা’ নামে পরিচিত। শুক্রবার মিন্দানাও দ্বীপে আঘাত হানে এ ঝড়। এর সম্ভাব্য ভয়াবহতা উপলব্ধি করে লানাও ডেল নর্তে ও লানাও ডেল সুর এলাকাসহ মিন্দানাওয়ের বেশ কিছু অংশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।


ফিলিপাইনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার-এর খবরে বলা হয়েছে, ঝড়, বন্যা ও ভূমিধসে মিন্দানাওয়ের লানাও ডেল নর্তেতে কমপক্ষে ৬২ জন, জাম্বোয়াঙ্গা ডেল নর্থেতে ৪৬ জন এবং লানাও ডেল সুরে ১৮ জন মারা গেছে। এর মধ্যে লানাও ডেল নর্তের তুবোদ শহরে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ওই শহরের পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারি পারামি। তিনি আরো জানিয়েছেন, নদীর পানি উপচে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে এবং বস্তুতপক্ষে গ্রামের অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছে না। দালাম গ্রামে মাটির নিচে চাপা পড়া ঘরবাড়ির ওপর থেকে মাটি সরিয়ে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে স্বেচ্ছাসেবকরা।


আরেকজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তুবোদ থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে পিয়াগাপো শহরে কমপক্ষে ১০ মারা গেছে। সারিপাদা পাকাসুম নামে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, উদ্ধারকারীদের সেখানে পাঠানো হয়েছে কিন্তু ধসে পড়া পাথরের নিচে ঘরবাড়ি চাপা পড়ায় তারা খুব বেশি এগোতে পারছে না। সিবুকো ও সালুগ গ্রামে আরো মানুষের মৃত্যুর খরব তথ্য পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যোগাযোগ লাইনের সংযোগ ছিন্ন হওয়ায় উদ্ধারাভিযান ব্যাহত হচ্ছে। টেম্বিন ঝড় ফিলিপাইনের সর্বদক্ষিণের স্থান পালাওয়ানে গিয়ে পশ্চিম দিকে দিক পরিবর্তন করে স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে প্রবাহিত হতে পারে। আগামী তিন দিনের মধ্যে ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত করতে পারে ঝড়টি।


প্রায় এক সপ্তাহ আগে আরেক গ্রীষ্মকালীন ঝড় কাই-তাক ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে এবং কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৩ সালে ওই অঞ্চলে টাইফুন হাইয়ান আঘাত হানে, যাতে প্রায় ৫ হাজার মানুষ মারা যায় এবং লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


[তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক