ভারতে গণপিটুনি বন্ধের আহ্বান: প্রধানমন্ত্রীকে বিশিষ্টজনের চিঠি!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: ভারতে গণপিটুনি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবার চিঠি দিয়েছেন আরো ১৮০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সেখানে তারা জানতে চেয়েছেন, কিভাবে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠি রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড হতে পারে? অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, চলচ্চিত্রকার আনন্দ প্রধান, ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার ও অ্যাক্টিভিস্ট হর্ষ মান্দারসহ ১৮০ জনের বেশি বিশিষ্টজন এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
তাদের দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, নাগরিক সমাজের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের ৪৯ জন সহকর্মীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এটি কি রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড হতে পারে? নাকি এটি হলো জনগণের কণ্ঠরোধ করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করে হয়রানি করা?
এর আগে গণপিটুনি এবং নৈরাজ্য বন্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লেখেন ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী। চিঠিতে স্বাক্ষর দেওয়া ও প্রতিবাদ করার অপরাধে তাদের নামে বিহারের মুজাফফরপুর আদালতে এফআইআর দায়ের করা হয়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ কয়েকটি ধারায় ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন আদুর গোপালকৃষ্ণন, গৌতম ঘোষ, শ্যাম বেনেগালের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকরা। এছাড়াও রয়েছেন কলকাতার নামকরা অভিনয়শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনসহ চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্টজনেরা।
বিহারের আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা এই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন। এই খোলা চিঠি লিখে বুদ্ধিজীবীরা দেশের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্বকে খাটো করেছেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে পরিচালক মণিরত্নম, অপর্ণা সেনদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ জারি করেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুর্যকান্ত তিওয়ারি। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে এই দিওয়ালিতে সব কন্যাসন্তানকে পুজো করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির দশেরা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ঘরেই লক্ষ্মী আছে। মন কি বাতেও বলেছেন, ঘরে, আমাদের এলাকাতেই লক্ষ্মী রয়েছে। আমাদের কন্যারাই লক্ষ্মীর রূপ। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, এই দিওয়ালিতে সব কন্যাদের শ্রদ্ধা ও পুজো করা উচিত।