চন্দ্রপৃষ্ঠে ভাড়ায় মিলবে গাড়ি!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: চন্দ্রপৃষ্ঠে ভাড়ায় মিলবে ‘লুনার মবিলিটি ভেহিকল’ নামের গাড়ি। চাঁদে সরকারি কোনো মিশন পরিচালনা করা হলে সেই মিশনের নভোচারীরাও ভাড়া নিতে পারবেন এই গাড়ি। মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস এবং মহাকাশ, সামরিক ও প্রতিরক্ষা যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন যৌথভাবে এ গাড়ি তৈরি করছে। ২০২৫ সাল নাগাদ পৃথিবী থেকে চাঁদে মনুষ্যবাহী মিশন পরিচালনা করার কথা রয়েছে। এই মিশনের আগেই যাত্রীপরিবহনের জন্য ‘লুনার মবিলিটি ভেহিকল’ নামের বিশেষ যান চাঁদে প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর জেনারেল মোটরস ও লকহিড মার্টিন যৌথভাবে চন্দ্রযান নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল। এই যান নভোচারী ও তার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চাঁদে নিয়ে যাবে। এখন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা চাঁদে গাড়ি ভাড়া দেয়ার কাজও করবে। চন্দ্রপৃষ্ঠে চলাচলের উপযোগী প্রয়োজনীয় সব ধরনের গাড়ি তৈরিতে কাজ করছে তারা। এসব গাড়ি বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান যেমন স্পেস এক্স বা ব্লু অরিজিনেরও কাজে লাগবে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাও চাইলে এই গাড়ি ভাড়া নিতে পারবে। জেনারেল মোটরসের পক্ষ থেকে চাঁদের গাড়ি তৈরির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০-এর দশকে বোয়িংয়ের সঙ্গে জেনারেল মোটরস লুনার রোভিং ভেহিকল (এলআরভি) তৈরি করেছিল। এর মধ্যে এলআরভি-১, এলআরভি-২ ও এলআরভি-৩ চাঁদের পৃষ্ঠে ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালে চালানো হয়। কিন্তু এরপর থেকে মানুষ আর চাঁদে যায়নি। নাসার নভোচারীরাও ওই গাড়ি ফেরত আনেননি। এখনো চাঁদের পৃষ্ঠে ওই গাড়ি অবশিষ্টাংশ রয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফক্স বিজনেসকে জেনারেল মোটরসের মুখপাত্র বলেছেন, চাঁদে ২০২৫ সালের মিশনের আগেই সেখানে চন্দ্রযান পাঠানো হবে। সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অন্য দেশের জন্যও তা ভাড়া দেয়া হবে। এসব গাড়ি চলবে সৌরশক্তিতে। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও অনেক সহজ। এগুলো ১০ বছরের বেশি সময় টেকসই হবে।