ইনকিলাব মঞ্চের রোডম্যাপ ঘোষণা
নীলিমা ব্যানার্জি, এসবিডি নিউজ24 ডট কম: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পানিপ্রবাহে বাঁধ নির্মাণ ও সম্প্রতি কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়া ত্রিপুরায় ডুম্বুর বাঁধ খুলে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা প্লাবিত করার মতো ভারতের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড রুখে দিতে ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে আগামী শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে ছাত্র-জনতার লং মার্চ করবে ইনকিলাব মঞ্চ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিভিত্তিক নতুন এই সংগঠনটি লং মার্চের রোডম্যাপ প্রদান করেছে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় শাহবাগ থেকে রওনা করে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা পরবর্তীতে বিকেলে বাঁধ অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ‘পানিসন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে ও আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’ সকল বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই রোডম্যাপ প্রদান করা হয়।
এসময় বক্তব্য প্রদান করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা শাহবাগে জমায়েত হবো, আপনারা যারা লংমার্চে অংশ নিতে চান তারা ঠিক সময়ে শাহবাগ জমায়েত হবেন। আমরা ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে যাবার জন্য ১০টি ট্রাক ম্যানেজ করেছি। তবে আমাদের কেউ কেউ নিজস্ব পরিবহনে যারা কথা বলেছে। আবার কেউ চাইলে বাইকের মহড়া নিতে চাইলেও যে কেউ যেতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাসুদুর রহমান, অদিতি রহমান, তানসেন রোজ, ইব্রাহিম মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল জাবের, কাজী তাদরী ইসলাম, প্রমুখ।
মুখপ্রাপ্ত শরীফ উসমান হাদী আরও বলেন, আমরা ১০টায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় একটি পথসভা করবো। পরে জুমার নামাজের পর কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করা হবে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় টাউনহলে মহাসমাবেশ করবো। মহাসমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে:-
১. অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
২. জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন – ১৯৯৭ তে অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে হবে।
৩. আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. ৫৪ টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক পানিবণ্টনে সকল পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. ভারতের সকল অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।