ভারতের সঙ্গে পাইপলাইনের প্রকল্প বাতিল

ভারতের সঙ্গে পাইপলাইনের প্রকল্প বাতিল

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: গ্যাস সংকটের কারণে খুলনা দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। ভারতেরও আগ্রহ ছিল। সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।

কারণ হিসেবে ভারতীয় গ্যাস নিম্নমানের বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পটি বিশেষ আইনে করা হয়েছে। এসব কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ভারত থেকে এলএনজি আনতে যে পাইপলাইন হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। কারণ প্রকল্পটি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিশেষ আইনে নেওয়া। অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি স্থগিত করায় এটি এখন আর হচ্ছে না। এ ছাড়া ভারতের গ্যাসে সালফারের পরিমাণ বেশি এবং হিটিং ভ্যালু কম। আমাদের গ্যাসের চাইতে নিম্নমানের। তাই বিষয়টা নিয়ে আগ্রহ নেই বাংলাদেশের।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে এলএনজি আমদানির জন্য বাংলাদেশ-ভারত পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত সরকার। উদ্দেশ্য ছিল অল্প সময়ে কম পরিবহন খরচে নিরবচ্ছিন্নভাবে এলএনজি আমদানির। বর্তমানে এলএনজি আমদানি হচ্ছে কার্গো জাহাজের মাধ্যমে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পেট্রোবাংলা ২০২১ সালের ১৬ জুন ভারতীয় কোম্পানি এইচ-এনার্জির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এর আগে একই উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে প্রথম এমওইউ স্বাক্ষর করেছিল পেট্রোবাংলা। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল এনএনজি আমদানির বিকল্প সোর্স তৈরি করা। আমরা এখন জাহাজে করে এলএনজি আমদানি করে পাইপলাইনে সরবরাহ করি। ভারতের সঙ্গে পাইপলাইন থাকলে বিকল্প সোর্স তৈরি হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে বহুমুখী যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা ছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের। ভারত থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। বিশেষ করে ভারতের বেসরকারি কোম্পানি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আদানির সঙ্গে চুক্তিতে বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে তেলের পাইপলাইন স্থাপনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। সবশেষ চেষ্টা ছিল পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানির।

অর্থনীতি ডেস্ক