ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে লংমার্চ ও জেয়াফত

ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে লংমার্চ ও জেয়াফত

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: ফেলানীসহ সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও ফারাক্কার নায্য পানির হিস্যার দাবিতে লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফত অনুষ্ঠিত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সরকারি মডেল হাই স্কুলে জেয়াফত উপলক্ষে গরু জবাই করে ভোজের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী সেখানে নানা আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ বের হয়। লংমার্চটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মডেল সরকারি হাই স্কুলে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশের জনগণ নামের একটি সংগঠন এই লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করে।

এই সময় লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতে অংশগ্রহণকারীরা- ‘কাঁটাতারের ফেলানী আমরা তোমাকে ভুলিনি’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’; ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো, করতে হবে’; ‘বেশি করে গরু খান, আগ্রাসন রুখে দেন’; ‘দিল্লি না, ঢাকা ঢাকা ঢাকা’; ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ সহ নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

জেয়াফতে অংশহণ করতে আসা বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, ৫,৬ ও ১৮ জানুয়ারি কালিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয়রা আগ্রাসন চালিয়েছিল। এই আগ্রাসন বিরোধী কার্যক্রম স্থানীয়রা প্রতিহত করেছিল। আর যারা এই ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্য এখানে একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। সেজন্য আমরা এখানে এসেছি এবং আমাদের এই প্রোগ্রামে এসে ভালো লাগছে কারণ আমাদেরকে উৎসাহিত এবং উজ্জীবিত করার জন্য এ প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হয়েছে।

আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, বগুড়াতে হিন্দু রাজার নিপড়নের বিরুদ্ধে গরু জবাই করেছিল। আর এই জিয়াফতটা অনেক আগে থেকে প্রচলিত ছিল। ভারত তার গরু রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মুসলমানকে নিপীড়িত করে। তার প্রতিবাদেই আমাদের এই জিয়াফত কার্যক্রম। আমাদের কার্যক্রম হিসেবে গরু জবাই হবে, আলোচনা হবে এবং নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এছাড়া সীমান্তে যারা নিহত হয়েছিল তাদের নামে আজকে সন্ধ্যার দিকে ফানুস উড়াব। শহীদদের সম্মানে তার নাম লেখা ফানুস আকাশে উড়িয়ে দেব।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক