নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি: মোঃ ফরিদ আহম্মেদ

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি: মোঃ ফরিদ আহম্মেদ

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন এসেছে। গত বছরের আগস্ট মাসে গঠিত বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়। সেই লক্ষ অর্জনে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নানাবিধ পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

চলমান এই বাস্তবতায় এমন একটি ঘটনা নজরে এসেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন শিক্ষক তার নিজের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দেশের গণমাধ্যমে তিনি তার লিখিত অভিযোগ জানিয়ে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তার প্রেরিত আবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো:—>

——–ঘটনার বিবরণ:——–

১ম পক্ষ (ভিকটিম): মোঃ ফরিদ আহম্মেদ, পিতা- মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদার, গ্রাম-কুনিয়ারী, পোঃ
সংগীতকাঠী, ওয়র্ড-০২. ইউপি-৩নং স্বরূপকাঠী ইউনিয়ন,উপজেলা-নেছারাবাদ, জেলা-পিরোজপুর, মোবাঃ ০১৭১২১৫৩৬২৮।

২য় পক্ষ (প্রতিপক্ষ) ১। মোঃ আকবর আলী (৫৬), ২। এনায়েত হোসেন (৪০),উভয় পিতা- মৃত নুরজামাল
গ্রাম-কুনিয়ারী, পোঃ সংগীতকাঠী, ওয়র্ড-০২. ইউপি-৩নং স্বরূপকাঠী ইউনিয়ন,উপজেলা-নেছারাবাদ, জেলা-পিরোজপুর।

ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী:- ১) মোঃ শহর আলী (৬০), পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন। ২) মোঃ আয়নুল ইসলাম (৬৫), পিতা- মৃত মোহাম্মদ আলী। ৩) মোঃ হাকিম মোল্লা (৫৮), পিতা- মৃত ওয়াজেদ মোল্লা, সর্ব সাং- কুনিয়ারী, ইউপি-৩নং স্বরূপকাঠী ইউনিয়ন,উপজেলা-নেছারাবাদ, জেলা-পিরোজপুর।

***প্রথম ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং- ১০/০২/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময়।
***২য় ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং- ০৪/০৩/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময়।

***ঘটনাস্থলঃ নেছারাবাদ থানাধীন ৩নং স্বরূপকাঠী ইউনিয়নের কুনিয়ারী গ্রামে কুনিয়ারী সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম পাশ্বে ভিকটিমের বাড়ী সংলগ্ন।

###পিরোজপুর জেলাধীন নেছারাবাদ উপজেলা অন্তর্গত কুনিয়ারী গ্রামে আমি ১ম পক্ষ (ভিকটিম) আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বংশ পরম্পরায় বসবাস করিয়া আসিতেছি। আামদের পাশ্ব বর্তীয় প্রতিবেশী ২য় পক্ষগণ সাথে জমিজমার সীমানা নির্ধারন নিয়া বিরোধ দেখা দিলে উক্ত বিরোধ নিরশনের জন্য ২০১৮ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয় নিকট লিখিত অভিযোগ জানাই। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যন জনাব মোঃ আল-আমিন সাহেব ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে স্থানীয় পর্যায় শালীশ ক্সবঠক করেন এবং উক্ত শালীশ বৈঠকে শালীশবর্গগণ উভয়ের মৌখিক অভিযোগ শ্রবন করেন এবং পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের কাগজপত্র ও দলিলাদী ও রেকর্ড পর্চা পর্যালোচনা করিয়া জরিপকারক দ্বারা শালীশ বর্গগণ উপস্থিত থাকিয়া কাগজপত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের প্রাপ্য অংশ সীমানা নির্ধারন করিয়া দখল বুঝাইয়া দেন। উক্ত দখল অনুযায়ী আমরা আমাদের সীমানার মধ্যে গাছপালা, লতাকৃষি সৃজন সহ বসত ঘর উত্তোলন করিয়া বসবাস করিয়া আসিতেছি কিন্ত হঠাৎ ১০/০২/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমরা আমাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে রান্নাঘর তুলিতে গেলে উক্ত ২য় পক্ষগণ আমাদের বাধা প্রদান করে এবং সম্পত্তি তাহাদের বলিয়া দাবী করেন এবং রান্না ঘর তুলিতে না দিয়া প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমরা প্রানের ভয়ে উক্ত ঘটনা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে অবগত করিলে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নতুন করিয়া শালীশ ক্সবঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। উক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা উভয় পক্ষ জনাব মোঃ হাকিম মোল্লা, আঃ হক নেছারী, সোহেল তালুকদার, আসাদুজ্জামান ফরাজী, মাওঃ আবুল কালাম, মোঃ দুলাল, আঃ ছত্তার ও ফারুক মোল্লাকে শালীশ মনোনীত করি। উক্ত শালীশবর্গগণ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সরজমিন পরিমাপ করার জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে জনাব এস্কন্দার কে জরিপকারক হিসাবে নিযুক্ত করেন। জরিপকারক ও শালীশবর্গগণ সরজমিন পরিমাপ করিয়া ও উভয় পক্ষের কাগজপত্র ও দলিলাদী ও রেকর্ড পর্চা পর্যালোচনা করিয়া ০৩/০৩/২০২৫ তারিখে মৌখিক রায় প্রদান করে যে, আমরা উভয় পক্ষ যে, যেভাবে সম্পত্তি ভোগদখল করিতেছি সে সে ভাব্ইে ভোগদখলে বিদ্যমান থাকিবে এবং যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং উভয় পক্ষ কেউ কাউকে বিরক্ত করবে না কিন্তু পরের দিন ০৪/০৩/২০২৫ তারিখ আমরা পূনরায় আমাদের সম্পত্তিতে রান্নঘর তুলিতে গেলে ২য় পক্ষ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশী অস্ত্রাদিতে সজ্জিত হইয়া আমাদেরকে বাধা প্রদান করে এবং প্রাণ নাশে হুমকি দেয় এবং এই বলে যে, যদি উক্ত সম্পত্তিতে কেউ কোন প্রকার কাজ কবে তবে দিনে দুপুরে মার্ডার করা হবে। আমরা প্রাণের ভয়ে স্থানীয় গ্যন্যমান্য ব্যক্তি ও শালীশ মহোদয়দেরকে বিষয়টি অবগত করিলে তারা উক্ত ০৪/০৩/২০২৫ তারিখে সন্ধ্যার দিকে ২য় পক্ষ- আকবর আলীকে তলব করিয়া ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে ২য় পক্ষ তাদের উপরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখি আচরন করে। উল্লেখ্য যে, ১৯৯৮ সালে জমি জমার বিরোধ নিয়া ২য় পক্ষ ও তার পিতা- মৃত নুর জামাল, হত্যা মামলায় আসামী ছিলেন এবং দীর্ঘদিন জেলে খেটেছেন। উক্ত ০৪/০৩/২০২৫ তারিখের পর থেকে ২য় পক্ষ প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই বখাটে আচারনের জন্য আমি সহ আমার পরিবার প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। বিষয়টির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উপরোক্ত অভিযোগকারী ফরিদ আহমেদ দুই দশকের বেশী সময় ধরে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে ঢাকায় আসেন। পড়াশোনা’র পাশাপাশি গরীব শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদান শুরু করেন। তরুণ বয়েসেই তিনি উপলদ্ধি করেছিলেন, একটি দেশের উন্নতি করতে হলে সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককের মধ্যে শিক্ষার আলো থাকতে হবে। নিজস্ব উপলদ্ধির আলোকে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। গড়ে তোলেন নিজের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অঙ্কুর মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে অধুনালুপ্ত দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার শিক্ষা পাতায় তার লেখা প্রকাশ হয়েছে নিয়মিত। তার ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই এখন সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত। শৈশবের প্রিয় ‘মনি স্যার’-কে মনে রেখেছেন অনেকেই।

এসবিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর পক্ষ থেকে মোঃ ফরিদ আহম্মেদকে সাহায্য এবং সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এসবিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিশ্বাস করে, শিক্ষকরা হচ্ছেন সমাজ গড়ার কারিগর। সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে পত্রিকাটি মোঃ ফরিদ আহম্মেদের পক্ষে সংহতি জ্ঞাপন করছে। একই সাথে এই বিষয়টি সাংবাদিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক