জলবায়ু পরিবর্তন: সচেতনতা প্রয়োজন
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দিন দিন আরও প্রকট হয়ে উঠছে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনেরই বহিঃপ্রকাশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে। মার্কিন জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (এনওএএ) থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, মার্চ মাসে সংলগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৬.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট, যা গড়ের চেয়ে ৫.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি। সাধারণত, ক্যালিফোর্নিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বের কিছু অংশ বাদে, লোয়ার ৪৮-এর বেশিরভাগ অঞ্চলে মার্চের তাপমাত্রা গড়ের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। কানসাসে রেকর্ডে চতুর্থতম উষ্ণতম মার্চ ছিল (১৯৪৬ সালের সাথে মিলে), নেব্রাস্কা এবং টেক্সাস তাদের পঞ্চমতম উষ্ণতম রেকর্ড করেছে। এর বিপরীতে সংলগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্চ মাসে বৃষ্টিপাত ছিল ২.৩৮ ইঞ্চি, যা গড়ের চেয়ে ০.১৩ ইঞ্চি কম, যা ঐতিহাসিক রেকর্ডের মাঝামাঝি তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে তীব্র তাপমাত্রার কারণে পানি সংকট তীব্রতর হচ্ছে, শস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং অসংখ্য মানুষ সর্দি-কাশি, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষত শিশু, বয়স্ক এবং শ্রমজীবী মানুষেরা এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাপপ্রবাহ শুধু জনস্বাস্থ্যের ওপর নয়, অর্থনীতির ওপরও গভীর প্রভাব ফেলছে। কৃষিখাতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। প্রচণ্ড গরমে কৃষিজমিতে পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি, মাছের খামার ও পশুপালনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেক নদী-খাল শুকিয়ে যাচ্ছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, যার ফলে সুপেয় পানির সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এর প্রভাব শুধু গ্রামাঞ্চলে নয়, শহরাঞ্চলেও পড়ছে। শহরাঞ্চলে তাপপ্রবাহ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে কংক্রিটের অতিরিক্ত ব্যবহার, সবুজায়নের অভাব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং তাপমাত্রা কমানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকায় ৩৮ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা উঠে যাওয়ার ফলে রাস্তাঘাটে বের হওয়া একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। নির্মাণশ্রমিক, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের জন্য এই গরম নিদারুণ কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশ্বের গড় তাপমাত্রার চলমান বৃদ্ধি এবং পৃথিবীর জলবায়ু ব্যবস্থার উপর এর বিস্তৃত প্রভাব। বৃহত্তর অর্থে জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে পৃথিবীর জলবায়ুর পূর্ববর্তী দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। বৈশ্বিক তাপমাত্রার বর্তমান বৃদ্ধি মানুষের কার্যকলাপ, বিশেষ করে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে ঘটে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার, বন উজাড় এবং কিছু কৃষি ও শিল্প পদ্ধতি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে। এই গ্যাসগুলি সূর্যালোক থেকে উষ্ণ হওয়ার পর পৃথিবী যে তাপ বিকিরণ করে তার কিছু অংশ শোষণ করে, যা নিম্ন বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বৈশ্বিক ঝুঁকি সিরিজ’-এ বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশকে আরও বড় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে’ শিরোনামের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশকে বৃহত্তর ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে জলবায়ু দুর্যোগের ঝুঁকির দিক থেকে বিশ্ব ঝুঁকি সূচক ২০২৩ বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী নবম স্থানে রেখেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ তার ১৭% ভূখণ্ড হারাবে, যার ফলে দেশের ৩০% কৃষিজমি হারিয়ে যাবে । উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে মানুষ শহরে অভিবাসন করতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ু অভিবাসীরা দরিদ্র জীবনযাত্রার সম্মুখীন হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের অবনতি, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং জাতীয় দারিদ্র্যের মাত্রা বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের শহরগুলি জলবায়ু অভিবাসীদের গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়, যা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংকটে অবদান রাখছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলিকে প্রভাবিত করছে। বিশ্লেষণ গ্রাম থেকে নগর এলাকায় অভিবাসন বৃদ্ধি পাবে হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাওয়া বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, যার ফলে দেশের ৫৫% অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা এবং জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি হওয়ায়, নগর এলাকাগুলি আরও বেশি লোককে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অযোগ্য। চারটি প্রধান শহর – ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহী – দেশের ৯০% অভিবাসী জনসংখ্যাকে গ্রহণ করেছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,৩০১ জন বাস করে, যেখানে ২০০০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৯২ জন। রাজধানীতে জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২০,০০০ এরও বেশি। শহরে জনসংখ্যার অত্যধিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব এবং অপর্যাপ্ত কর্মপরিবেশ জলবায়ু অভিবাসীদের কম দক্ষ চাকরি নিতে বাধ্য করে এবং এর ফলে ৪.৪ মিলিয়ন মানুষ বস্তিতে বসবাস করতে বাধ্য হয়। নগর জলবায়ু অভিবাসীরা “দ্বিগুণ নিরাপত্তাহীনতার” মুখোমুখি হচ্ছে কারণ কর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়া এবং আশ্রয়ের খরচ বহন করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের দ্রুত এবং জোরপূর্বক নগরায়ন প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা কম হওয়ায় মানব নিরাপত্তা হ্রাস পাচ্ছে, স্থানীয় এবং অভিবাসী জনসংখ্যার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নগর অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেবে ৮৫% এরও বেশি গ্রামীণ বাংলাদেশী পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা এবং বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কারণ কৃষকদের ভূগর্ভস্থ জল এবং কীটনাশকের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাবে। তাপমাত্রার পরিবর্তন উপকূলীয় ধান উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশে মোট ধান উৎপাদন প্রতি বছর ৭.৪% হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন, টেকসইতা, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করে অমৃতা বীর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বৈশ্বিক ঝুঁকি সিরিজ’-এ আরও লিখেছেন, “২০৫০ সাল পর্যন্ত। কৃষিজমির যেকোনো ক্ষতি বা অবক্ষয় গ্রামীণ এলাকায় জীবিকা নির্বাহের অনিশ্চয়তাকে আরও তীব্র করে তোলে। জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ কীভাবে কৃষকরা বহন করতে পারবেন এবং আসন্ন নিরাপত্তাহীনতা রোধ করতে পারবেন সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের কোনও স্পষ্ট কর্মক্ষম নীতি নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অর্জিত অগ্রগতিকে ক্ষুণ্ন করছে এবং বাংলাদেশের জন্য দারিদ্র্য মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে কঠিন করে তুলছে। পোশাক কারখানার নির্গমন, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের প্রাদুর্ভাব এবং কৃষি কীটনাশকের কারণে বায়ু দূষণ বেশি। বায়ু দূষণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং হৃদরোগজনিত রোগ থেকে অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার বৃদ্ধি করে, যা বাংলাদেশের মৃত্যুর ১৮% । বায়ু দূষণের পাশাপাশি, বাংলাদেশের শহরগুলি মারাত্মক বন্যা এবং জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ঢাকার জনসংখ্যা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সাথে লড়াই করছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী বছরগুলিতে আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী বছরগুলিতে বাংলাদেশের সরকারের একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সংকট দেখা দেবে এবং শহরগুলিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এটি আরও খারাপ হবে।”
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকা মূলত কয়েকটি খুঁটির ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে, যার অন্যতম কৃষি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কৃষিক্ষেত্রটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসাবেও বিবেচিত। কারণ, এর উৎপাদনশীলতা পুরোপুরি নির্ভর করে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, রৌদ্রের সময়কাল এবং জলবায়ু সম্পৃক্ত কারণগুলোর ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ও শীতকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি তাপমাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধির অস্বাভাবিক আচরণও লক্ষ করা যাচ্ছে। জলবায়ু পরির্তনের কারণে নদীভাঙন বাড়ছে। জলবায়ুর এ বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন অভিযোজন কৌশল রপ্ত করতে হবে, যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কৃষিকে মুক্ত রাখা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষিকে টেকসই অবস্থানে টিকিয়ে রাখতে হলে ফসলের সহনশীল জাত উন্নয়নে জোর দিতে হবে। লক্ষ করা যাচ্ছে, এ বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নে বিশ্ববাসী ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এটা দুঃখজনক। এ বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নে বিশ্ববাসীকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এ বিষয়ক ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদেরও নিজ উদ্যোগে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনকে একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে অভিহিত করেছে। উষ্ণায়ন সীমিত করার জন্য পদক্ষেপ না নিলে সমাজ এবং বাস্তুতন্ত্র আরও গুরুতর ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা খরা-প্রতিরোধী ফসলের মতো প্রচেষ্টার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি আংশিকভাবে হ্রাস করে, যদিও অভিযোজনের কিছু সীমা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। দরিদ্র সম্প্রদায়গুলি বিশ্বব্যাপী নির্গমনের একটি ছোট অংশের জন্য দায়ী, তবুও তাদের অভিযোজনের ক্ষমতা সবচেয়ে কম এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য একটি বার্তা বহন করছে-জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব এখন বাস্তবতা। তাই এখনই যদি আমরা সচেতন না হই, তবে ভবিষ্যতে আরো ভয়ংকর দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হবে। সময় এসেছে পরিবেশ রক্ষায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার। সরকার, নাগরিক সমাজ এবং প্রতিটি ব্যক্তি মিলে এই সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এলে তবেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি পৃথিবী রেখে যেতে পারবো।।
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ, প্রধান সম্পাদক, এসবিডি নিউজ24 ডট কম।।
jsb.shuvo@gmail.com