আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে ভাষায় বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন তা কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় নাঃ মির্জা ফখরুল
ওহিদুল ইসলাম,এসবিডি নিউজ 24 ডট কমঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের সমুদ্র বিজয়ের দাবি শুভঙ্করের ফাঁকি। তিনি বলেন, একদিকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ উল্লাস আনন্দ করছে, অন্যদিকে মিয়ানমারের জনগণও উল্লাস করছে। কার জয় কার পরাজয় হলো বোঝা যাচ্ছে না।
১ এপ্রিল (রোববার) বিকালে স্বাধীনতা ফোরামের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফেরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজ উদ্দিন আহমেদ, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, মহীসোপান অনুযায়ী সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী হলে বাংলাদেশ আরো জায়গা পেত। কিন্তু সরকার ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার আদায় করেছে। এর ফলে সমুদ্রে বাংলাদেশের যে গ্যাস ব্লক ছিল, তার মধ্য থেকে অনেকগুলো হারাতে হয়েছে। এতে বাংলাদেশ তিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সমুদ্র বিজয়ের কথা বলা হচ্ছে। অথচ এতে দেশ অনেক ক্ষেত্রে হেরে গেছে। তিনি অবিলম্বে সমুদ্র বিজয়ে বাংলাদেশের অর্জনগুলোর পাশাপাশি বিসর্জনের জায়গাগুলো প্রকাশের দাবি জানান।
এই জয়কে শুভঙ্করের ফাকি হিসাবে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সমুদ্র জয়ের বিষয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ উল্লাস আনন্দ করছে, অন্যদিকে মিয়ানমারের জনগণও উল্লাস করছে। কার জয় কার পরাজয় হলো বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এই রায় নিয়ে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে সরকার। তারা সমুদ্র জয়ের কথা সারা দেশে ফলাও করে প্রচার করছে কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করছে না। তিনি অবিলম্বে প্রকাশ আন্তর্জাতিক আদালতের প্রকাশ করা আহ্বান জানান।
ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে ভাষায় বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন তা কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে থাকে জাতির জন্য দিক নির্দেশনা। কিন্তু তিনি যে ভাষায় বক্তব্য দেন, তাতে অনেক বাসায় টিভি বন্ধ করে রাখা হয়। কারণ ওই ভাষা ছেলেমেয়রা শিখুক এটা কেউ চায় না। তিনি বলেন, সরকার জনগণের সঙ্গে যে ওয়াদা করে মতায় এসেছিল, সে ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি। তাই জনগণ তাদের পিছন থেকে সরে গেছে। এ কারণে তাদের মাথা ঠিক নেই।