চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি পরিদর্শনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
জালালউদ্দিন সাগর, চট্টগ্রাম থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি: তাইইয়ং চু মনে করেন, ভাষা ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের অনেক মিল। তিনি মনে করেন, উচ্চারণের দিক দিয়ে পার্থক্য থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের ভাষাগত অনেক মিল খুজে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ’’ আমি যখন ২০১০ সালে বাংলাদেশে আসি, এ দেশের মানুষের বন্ধূপরায়ন আন্তরিকতায় সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। ’’ বাবা, মা, গঙ্গা শব্দের উদাহরণ টেনে প্রকৃতি প্রেমি এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ এই শব্দ গুলির সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নিভির সম্পর্ক রয়েছে। আমরাও বাবাকে বাবা, আর মাকে মা বলে ডাকি।’
গত ৪ এপ্রিল, বুধবার দুপুর ১:০০ টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র কনফারেন্স হলে চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি: তাইইয়ং চু এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি পরিদর্শন কালে তার সফর সঙ্গী ছিলেন মি: দয়ইয়ন উন এবং মি: সুম সিক কিম । আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার চট্টগ্রামে অবস্থিত কনসাল জেনারেল দপ্তরের মো: ইরাদ আলী ও নাজিরউদ্দীন আহমদ।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ সভাপতি জনাব এ.এম মাহাবুব চৌধুরী। সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক আজাদি পত্রিকার সম্পাদক ও চেম্বারের পরিচালক এম.এ. মালেক, এনামুল হক, প্রফেসর আহছানুল আলম পারভেজ, এবং হাজী এম.এ.মালেক উপস্থিত ছিলেন। সভায় সঞ্চালক হিসাবে ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সেক্রেটারী মি: এম. সলিমুলাহ।
জনাব, মাহাবুব চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপুল বিনিয়োগের প্রশংসা করেন। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের বিনিয়াগ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং দুদেশেরে মধ্যে বিরাজমান সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি কামনা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত মি: তাইইয়ং চু বাংলাদেশ সরকার এবং জনগনের কর্মক্ষমতার প্রশংসা করে বলেন যে, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ঐতিহ্যবাহী, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষনে যথেষ্ঠ সহায়ক। তিনি আরও বলেন, দুদেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্যিক লেনদেনে ভারসাম্য দক্ষিণ কোরিয়ার অনুকুলে হলেও আগামীতে বাংলাদেশের রপ্তানী বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ কোরিয়া আমদানী বৃদ্ধি করে ভারসাম্য হীনতা কমিয়ে আনা সম্ভব। চট্টগ্রাম কেইপিজেড এ তার দেশ অনেক বড় পুঁজি বিনিয়োগ করেন যেখানে দেশী বিদেশী উদ্যোক্তা নিজেদের চাহিদা মোতাবেক বিনিয়োগ করতে পারবেন।’
কেইপিজেড নিয়ে সাম্প্রতিক প্রকাশিত ভুল বুঝাবুঝি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।