র্যাব-১২ বগুড়া কর্তৃক ৩৫০ পিচ ভারতীয় লুপিজেসিক ইঞ্জেকশনসহ গ্রেফতার ০১, অহপরণকারী ও ২,০০,০০০ টাকা উদ্ধার
চপল সাহা,বগুড়া থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ গত ০৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখ ১৫.০০ ঘটিকা হতে ০৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখ ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১২, স্পেশাল কোম্পানী, বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সুমিত চৌধুরী এর নেতৃত্বে একটি অভিযান দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন মহাস্থান বাস স্ট্যান্ডে দিনাজপুর হতে ঢাকাগামী ট্রাক রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৬৪৬০ এ তল্লাশী করে ট্রাকের যাত্রী আসামী (১) মোঃ সুমন মিয়া, (২৮) পিতা মোঃ মোজাহার আলী, সাং দক্ষিণ দেবীপুর, থানাঃ ঘোড়াঘাট, জেলাঃ দিনাজপুরের হেফাজত থাকা কালো রংয়ের হ্যান্ড ব্যাগ হতে ৩৫০ পিচ ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ লুপিজেসিক ইঞ্জেকশনসহ গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত লুপিজেসিক ইঞ্জেকশনের আনুমানিক মূল্যঃ ৮৭,৫০০/- টাকা। এ ব্যাপারে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানায় উল্লেখিত আসামীর বিরুদ্ধে মালামাল ও আসামী হস্তান্তর পূর্বক মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।
গত ০৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখ ১৫.০০ ঘটিকা হতে ০৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখ ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১২, স্পেশাল কোম্পানী, বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সুমিত চৌধুরী এর নেতৃত্বে একটি অভিযান দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোঃ জালাল শেখ (৩০) পিতাঃ মৃতঃ ফজলুল শেখ, সাং জায়গির আড় পাড়া, থানাঃ মোকসেদপুর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ, এর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত (১) মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩০), পিতাঃ মৃত মোজাহার আলী, (২) মোঃ সোলায়মান (৪৫), পিতাঃ মোঃ দশরত আলী, প্রামানিক, উভয় সাং দিঘী পাড়া, থানাঃ দুপচাঁচিয়া, জেলাঃ বগুড়াদ্বয়কে দুপচাঁচিয়া থানাধীন করতোয়া কুরিয়া সার্ভিস অফিস থেকে ২,০০,০০০/- টাকা ও ১ টি মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২ বৎসর আগে মোঃ রমজান(২৪), পিতাঃ মোঃ মোনামূল্যা সাং ফলিয়া থানাঃ আলফাডাঙ্গা, জেলাঃ ফরিদপুর দুবাই যায়। সেখানে ৩ বাংলাদেশী যথাক্রমে (১) মোঃ রমজান (ফরিদপুর), (২) নওগাঁ জেলার মোঃ মক্কেল মিয়া ও (৩) ফেনী জেলার মোঃ সোহেল রানা একত্রে বসবাস করেছিল। প্রায় ০১ মাস আগে ইরানে বসবাসরত আদম বেপারী মোঃ নান্নু মিয়া (সিলেট) ও মোঃ রায়হান (জয়পুর হাট) উক্ত ৩ বাংলাদেশীকে প্রস্তাব করে যে, প্রত্যেককে ৫০,০০০/- টাকা করে দিলে তাদেরকে গ্রীসে নিয়ে যাবে। তাঁরা রাজি হয়ে দাবীকৃত অর্থ পরিশোধ করে দেয়। আদম বেপারী ২ জন তাদেরকে প্রথমে ওমান ও পরে ইরানে নিয়ে যায় এবং কোন নির্জন স্থানে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নতুন কৌশলে প্রত্যেকের কাছে ৪,০০,০০০/- টাকা করে দাবী করে এবং বাংলাদেশে তাদের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তাদের নতুন শর্ত হলো গ্রীসে পৌছার আগে ২,০০,০০০/- টাকা করে পরিশোধ করতে হবে এবং পৌছানোর পর ২,০০,০০০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে। নইলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলে ফোনে হুমকি দিতে থাকে। প্রতারক ২ জন বার বার তাদের দাবীকৃত টাকা মোঃ রায়হান জয়পুরহাট এর বোন জামাই অভিযুক্ত (১) মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩০), পিতাঃ মৃত মোজাহার আলী, থানাঃ দুপচাঁচিয়া, জেলাঃ বগুড়ার ঠিকানায় করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস দুপচাচিয়া শাখায় পাঠাতে বলে। অভিযুক্ত মোঃ বাচ্চু মিয়া দিনে ৫/৭ বার করে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এবং বলে যে, টাকা না পাঠানোর পরিনাম ভয়াবহ হবে। এরকম পরিস্থিতিতে অভিযোগ কারীর পরিবার পরিজন টাকা জোগাড় করতে না পেরে অতিরিক্ত ঢাকা রেঞ্জের ডি, আই, জি, জনাব মোঃ নুরুজ্জামান সাহেবের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি র্যাব-১, উত্তরা অধিনায়ক, লেঃ কর্ণেল জনাব রাশেদ এর সংগে দেখা করার পরামর্শ দেন। র্যাব-১ এর অধিনায়ক তাকে র্যাব -১২ বগুড়ায় যোগাযোগ করতে বলেন। যেহেতু প্রতারিত ৩ বাংলাদেশী আগে থেকেই একত্রে দুবাই বসবাস করত সেই সুবাদে তাদের পরিবারের অভিভাবকদের সাথে অভিযোগ কারীর যোগাযোগ ছিল। ফেনী জেলার মোঃ সোহেলের পরিবার ১,৭০,০০০/- টাকা মোঃ বাচ্চুর কাছে পাঠিয়ে দেয়। নওগাঁর মক্কেল মিয়ার পরিবার ২,০০,০০০/- টাকা যোগাড় করে ৪/৪/২০১২ তারিখে মোঃ বাচ্চুর কাছে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস দুপচাঁচিয়া শাখায় পাঠানোর কথা ছিল। অভিযোগ কারী ঐ দিন সকালে ঢাকা থেকে বগুড়া র্যাব-১২, অভিসে এসে বিস্তারিত বললে, তারা দুপচাঁচিয়া যেয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার দিকে বাচ্চু করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসে আসলে ২,০০,০০০/- টাকা বুঝে নিয়ে কুরিয়ার অফিস থেকে বাচ্চু বের হলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা র্যাব সদস্যরা নওগাঁর মক্কেল মিয়ার ভাই আবুল কালামের পাঠানো ২,০০,০০০/- টাকা এবং তার কাছে থাকা একটি G’FIVE L228 মোবাইল ফোনসহ তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদে বাচ্চু ও সোলায়মান জানায় যে, এ পর্যন্ত ২৩ জনের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাচ্চু আরও জানায় যে, প্রাপ্ত টাকার অর্ধেক মোঃ নান্নু মিয়া (সিলেট) এর বোন সোনাভানের কাছে ইসলামী ব্যাংকে টি টি করে পাঠাতে হবে। অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া, সোলায়মান, নান্নু মিয়া, রায়হান, সোনাভান দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ অবরোধ, মারপিট ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবী আসছে। পরবর্তীতে অভিযোগ কারী মোঃ জালাল শেখ বাদী হয়ে উক্ত অপহরণ কারী আসামীদের বিরুদ্ধে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।