পহেলা বৈশাখঃ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানী
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ পহেলা বৈশাখে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে রমনা বটমূল ও রাজধানীর আশপাশ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাঠে থাকছে ২০ হাজারের অধিক নিরাপত্তা কর্মী। রমনা ও এর আশপাশ এলাকায় থাকবে ১০ হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় র্যাবের আড়াই হাজার সদস্য ও সারাদেশে সাড়ে ৫ হাজার সদস্য মাঠে থাকবে বলে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে জানান র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান। বৈশাখী উৎসবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইম্প্রোভাইস এক্সকুসিভ ডিভাইস (এক ধরনের দূর নিয়ন্ত্রিত রোবট) ব্যবহার করছে। এ ডিভাইসটি বোমা সনাক্তকরণ এবং নিষ্কীয় করতে কাজ করবে। এছাড়াও ডিজিটাল ট্রেকিং ব্যবহার করা হবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঢাকা শহরে ২০ হাজার পুলিশ নানা বেশে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। বটমূলের চারপাশকে ঘিরে থাকবে কোজ সার্কিট ক্যামরা এবং বিস্ফোরক শনাক্ত করার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। সোমবার থেকে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারা রমনা বটমূল ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, চারুকলা ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, শিশু পার্ক, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট এলাকাসহ রমনা পার্কের চারপাশ্বে পথে পথে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অবস্থান নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মিন্টু রোডের ডিএমপি’র মিডিয়া সেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের ইম্প্রোভাইস এক্সকুসিভ ডিভাইস (এক ধরনের দূর নিয়ন্ত্রিত রোবট) ব্যবহার করার তথ্য জানান। বেনজির আহমেদ আরো জানান, পুলিশকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে জীবনরক্ষা করার জন্য, জীবন নেয়ার জন্য নয়। আগামী ১ বছরের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্য এমটি-৭ নামক এক ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। যার রেঞ্জ হবে ২শ’ মিটার। বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুর ব্যাপারে ডিএমপি’র কমিশনার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা আর হযরত আলী বা বেলায়েতের লাশ দেখতে চাই না। আমরা চাই জঘন্য অপরাধীদের লাশ।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বেনজির বলেন, এবারের বৈশাখী উৎসবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি হবে। কিন্তু এতে যেন বাড়াবাড়ি না হয়। এবারের বৈশাখী উৎসবে ১০ লাখেরও বেশি লোক সমবেত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উৎসবে আগতদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা উৎসবে আসবেন, তারা যেন নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলা নববর্ষ ১৪১৯ উপলক্ষে রাজধানীর প্রতিটি স্থানে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান যেন সুষ্ঠুভাবে হতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও যান চলাচল নিবিঘœ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার আব্দুল জলিল, মিলি বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রমনা বিভাগের উপ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিএমপি’র ট্রাফিক (দক্ষিণ) এর উপ কমিশনার খন্দকার নাজমুল আহসান প্রমুখ।