সাংবাদিক দম্পতি হত্যাঃ তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হচ্ছে ১৬ এপ্রিল
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হচ্ছে ১৬ এপ্রিল (সোমবার)। ১৫ এপ্রিল (রোববার) একথা জানান ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিষ্টর এবিএম আলতাফ হোসেন। রোববার দাখিলের কথা থাকলেও অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় প্রতিবেদন দুটি আদালতে উপস্থাপন সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, সোমবার প্রতিবেদন দুটি উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া রুলের জবাব রোববার পর্যন্ত পৌছেনি বলে জানান তিনি। গত ৮ এপ্রিল তারিখ নির্ধারিত থাকলেও প্রতিবেদন দুটি উপস্থাপন করা যায়নি।
সূত্র জানায়, সাগর রুনি হত্যারহস্য উদ্ঘাটন দাবিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর আন্দোলন কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ায় হতাশ ঐ মামলার বাদি রোমান। হতাশ নিহতদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। ৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলো ৮ এপ্রিলের নির্ধারিত আন্দোলন কর্মসূচি পিছিয়ে দেয়ায় নিহতদের পরিবার এই হতাশা প্রকাশ করছে। তাদের আশংকা এতে করে খুনিদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া থেকেও পুলিশ পিছু হটে যাচ্ছে।
ব্যারিস্টার আলতাফ জানান, আইজিপি ও মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া দুটি প্রতিবেদন সীলগালা অবস্থায়ই আজ আদালতে উপস্থাপন করা হবে। প্রতিবেদন দুটি দেখার পর পরবর্তী করনীয় আদেশ দেবেন আদালত। তিনি জানান, সকালের মধ্যেও রুলের জবাব পৌছলে তিনি আদালতে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেবেন।
হিউম্যান রাইটস ফর পিস বাংলাদেশ এর পক্ষে ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মনজিল মোরশেদ’এর দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১০ মার্চের মধ্যে তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ এবং পুলিশসহ স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর রুল জারি করেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনার লিখিত আদেশ না পাওয়ায় ২০ মার্চ পুনরায় ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিষ্টার এবিএম আলতাফ হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চান আদালত। পরে ২২ মার্চের মধ্যে তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়। এ আদেশের পরদিনই ডিবি ও আইজিপির দফতর থেকে দুটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় অ্যাটর্নী জেনারেল অফিসে। ৮ এপ্রিল দুটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। পরে বিভিন্ন কারনে নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদন দুটি উপস্থাপন করা যায়নি।
উল্লেখ্য, দুমাসের বেশী সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ হত্যাকান্ডের কুই খুঁজে পাওয়ার তথ্য জানাতে পারেনি। মামলাটি পুলিশ ছাড়াও র্যাব সিআইডি ও ডিবির চৌকস তদন্তকারিরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে তদন্ত চালায়। মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ডিবির দক্ষিণ ও উত্তর বিভাগের প্রায় ৬ টি টিমের অভিজ্ঞ ও চৌকস তদন্তকারিরা দুমাস তদন্তের পরও এ হত্যা রহস্যর কু খুঁজে পায়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশের মতো কোন তথ্য তাদের হাতে নেই।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ফ্যাটের বেডরুম থেকে পুলিশ মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।