আমি আমার জীবনে আরও বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজও একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলামঃ সুরঞ্জিত
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেছেন। তার ব্যক্তিগত সহকারি ওমর ফারুকের কাছে ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এই প্রথম কোনও মন্ত্রী পদত্যাগ করে নজির স্থাপন করলেন। সুরঞ্জিত বলেন, টাকা কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি দুর্নীতির ঘটনার সাথে সম্পৃকতার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করতে চাই কারণ আমি সম্পৃক্ত না থাকলেও রেলের সকল ব্যর্থতার দায়িত্ব আমার ওপরই বর্তায়। আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলে ঘটনার তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সুরঞ্জিত বলেন আমি আমার জীবনে আরও বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজও একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলাম।
১৬ এপ্রিল (সোমবার) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে রেলভবনে উপস্থিত হন। বহুল আলোচিত রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা সম্পর্কে তাঁর সংবাদ সম্মেলনে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে পৌঁছান সাড়ে ১০টায়। তবে বাইরে উপস্থিত সাংবাদিক বা কর্মকর্তাদের কেউ রেলমন্ত্রীকে সভায় ঢুকতে দেখেননি।
রবিবার সহকারী একান্ত সচিবকে (এপিএস) নিয়ে ‘অর্থ কেলেঙ্কারির’ পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গণভবনে যান রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তবে বের হয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার গভীর রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদরদপ্তর পিলখানার মূল ফটকে বিপুল অঙ্কের টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক, রেলওয়ের জিএম (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট (ঢাকা) এনামুল হক আটক হন। তারা দাবি করেন, তারা রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তাদের অপহরণ করার লক্ষ্যে গাড়িচালক আলী আজম গাড়িটি বিজিবির ফটকের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। এরপর বিজিবির সদস্যরা টাকাসহ সবাইকে আটক করেন। পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে গাড়িচালক আলী আজমকে ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেয় বিজিবি।