প্রতারণা মামলায় চিত্র নায়ক শাকিল খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আলমগীর হোসেন,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রতারণা মামলায় চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিল খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত। জেলার জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম আব্দুস সবুর মিনা ২৫ এপ্রিল (বুধবার) এ আদেশ দেন। অপর দুই আসামি হলেন_ শাকিলের নিম হারবাল লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান মিজান এবং অ্যাসিট্যান্ট সেলস ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন। শাকিল ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়ার কামরুল হাসান কচি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় বুধবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা কেউ হাজির না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়না জারি করা হয় বলে বাদীর আইনজীবী জানান।
বাদীর আইনজীবী সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ বলেন, কামরুল হাসান কচি বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। গত বছরের ১৬ মে মিজানুর রহমান বাদীকে তাকে নিম হারবাল লিমিটেডের ডিলারশিপ নেয়ার প্রস্তাব দিলে বাদী গ্রহণ করেন। এর আগে যশোরে ওই ডিলারশিপ ছিল শহরের চুড়িপট্টি এলাকার লাল্টু স্টোরের। এরপর লাল্টু স্টোরের ডিলারশিপ রহিত করা হয়। এ ছাড়া লাল্টু স্টোরে রক্ষিত মালামাল ১২ শতাংশ কম মূল্যে গ্যারান্টি কার্ডসহ বাদীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
চুক্তির পর বাদীর সঙ্গে নিম হারবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল খানের আলোচনা হয় পণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ে। ওই সময় শাকিল খান বাদীকে তিনজন কর্মচারী নিয়োগ দিতে বলেন। ওই তিনজনের বেতন কোম্পানি দেবে বলে শাকিল খান জানান। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পরিবর্তনের অঙ্গীকারও করেন তিনি। সে মতে বাদী গত ১ জুন তিনজন কর্মচারী নিয়োগ করেন। ১০ জুন কোম্পানি দুজনের বেতন পরিশোধ করে। এরপর থেকে মামলা করার আগের দিন পর্যন্ত আর কোনো বেতন পরিশোধ করেনি কোম্পানি। এ ছাড়া ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮২৫ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পরিবর্তন না করে নানাভাবে ঘোরাতে থাকে। এই তিন কর্মচারীর বেতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মিলে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ফেরতসহ ডিলারশিপ থেকে অব্যাহতি চান বাদী কামরুল হাসান কচি। কিন্তু কোম্পানি নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।