ভেসে যায় বৃষ্টির জলে…
জবরুল আলম সুমনঃ সময়েরা এতো দ্রুত পালায় কেন ? সময়েরা কি স্থির থাকতে জানেনা ? দেশে বিদেশে কত শত অদ্ভূত আইন কানুন তৈরী হয় মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলা বোধ তৈরী করার জন্য, আচ্ছা এমন কি কোন আইন তৈরী করা যায়না যে আইনের বলে সময়েরা স্থির হয়ে থাকবে, একটুও নড়া চড়া করবেনা। যদি তাই করা যেত তবে হয়তো সোমা’কে কেউ আর ঘরে আটকে রাখতে পারতো না চোখের বেড়া দিয়ে। একটু একটু করে পালিয়ে যাওয়া সময়েরা সোমার সবটুকু শৈশব চুরি করে নিয়ে গেছে আর সেই সাথে হাতে ধরিয়ে দিয়েছে কৈশোরের টিকিট। সোমা আজ চৌদ্দ বছরের এক বাড়ন্ত কিশোরী। তার বয়সটাই বলে দেয় সে আর আগের মতো নেই, তাকে এখন শাসনের বেড়াজালে থাকতে হয় প্রতি মুহুর্ত। সে কোথায় দাঁড়াবে, কোথায় বসবে, কোন দিকে তাকাবে, কোন পথে হাঁটবে তার সবটুকুই এখন মা’য়ের সিদ্ধান্তে করতে হয়। ওড়নাটা গলায় পেঁচাবে নাকি শরীরে জড়িয়ে রাখবে তাও মা ঠিক করে দেন। আচ্ছা মায়েরা এমন হয় কেন ? তারা কি এই সময়টুকুন পার করে আসেনি যে সময়ের ভেতর দিয়ে এখন সোমা পার হচ্ছে ? তবে তারা কেন বুঝতে চায়না এই বাড়ন্ত মনের ভিতরে রোজ রোজ কত স্বপ্ন বেড়ে ওঠে, স্বপ্নের ডাল পালা মেলতে না মেলতেই মায়েরা কেন তা শাসনের কাঁচি দিয়ে ছেটে ফেলে, কেটে ফেলে ? এই ত মাত্র ক’বছর আগেও, কত বছর, পাঁচ কিংবা ছয়। যখন সোমা একটা হাফ প্যান্ট আর হাত কাটা পাতলা গেঞ্জি পরে টেলিভিশনের সামনে বসে কার্টুন দেখতো ঠিক তক্ষনি রান্না ঘর থেকে মা ডাক দিয়ে বলতো “সোমা, যা ত মল্লিকের দোকান থেকে তোর বাবার কথা বলে হাফ কেজি মশুর ডাল নিয়ে আয়, শুধু ডাল নিয়ে আসবি সাথে যেন ক্যান্ডি ফ্যান্ডি না আসে” তখনো কিন্তু মা বলেনি ‘সোমা, দোকানে যাওয়ার আগে গায়ে ওড়নাটা জড়িয়ে নিয়ো’ সেই মা এখনো রান্না ঘর থেকে ডাক দেয় তবে মল্লিকের দোকানে যাওয়ার জন্য নয়, সময়ে অসময়ে যেন বারান্দাতেও পা না বাড়ায় তার জন্য। সোমা কখনোই তার মায়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেতে পারেনা, তাই মায়ের নিষেধ উপেক্ষা করে বারান্দাতেও যাওয়া হয়না যখন তখন। অথচ তার ভেতরটা এক মুহুর্তে চার দেয়ালের চৌকাঠ মাড়িয়ে চলে যায় বাসার ছাদে, উঠোনে কিংবা গলির মাথার ওই খেলার মাঠটাতে যেখানে পাড়ার অন্যসব ছেলে মেয়ে স্কুল শেষে এক জোট হয়ে হরেক রকমের কত খেলায় মেতে উঠে।
সোমার ফুপাতো ভাই মতি আজকে এসেছে বেড়াতে, সোমার চেয়ে বার বছরের বড়। পাশের পাড়াতেই মতিদের বাসা তাই যখন তখন চলে আসে। আগেও আসতো কিন্তু তাতে মায়ের কোন মাথা ব্যথা ছিলোনা বরং মতি এলে মা খুশীই হতেন, মতিকে দিয়ে এটা সেটা কত কি করানো যেত মতিও ক্লান্ত হতো না একদম। মায়ের কাজ সেরে সোমাকে কাঁধে নিয়ে ঘুরতো কখনো ঘোড়া সেজে পিঠটা উঁচিয়ে দিতো আর সোমা তখন মতির পিঠে চড়তো, মা দূর থেকে দেখতেন আর হাসতেন। হয়তো কখনো বলে উঠতে ‘মতির চুলটা ধরে সাবধানে বসিস যেন পড়ে না যাস’। মনে পড়ে যায় হঠাৎ করেই একদিন নোটিশ ছাড়াই সোমার প্রচন্ড জ্বর এলো। মাথা নাড়াতে পারছিলো না একদম, বিছানায় শুয়ে শুয়ে জ্বরের ঘোরে আবোল তাবোল বকছে বাবা অফিসে চলে গেছে সেই সাত সকালে। জ্বরের ঘোরে সোমার আবোল তাবোল কথা শুনে মা একটু পর পর রান্না ঘর থেকে এসে উঁকি দিচ্ছে , শেষবার উঁকি দিতে এসে ঘরে ঢুকে হাতটা কপালের উপর রাখতেই আঁৎকে উঠলেন, চেঁচিয়ে মতিকে ডাকলেন, মতি তখন সোমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে। মতি মায়ে’র ডাক শোনে পাশের ঘর থেকে দৌড়ে এলে মা তার হাতে শ’খানেক টাকা গুঁজে দিয়ে বললো সোমাকে নিয়ে পাড়ার কুদ্দুস ডাক্তারকে দেখিয়ে জ্বরের ওষুধ নিয়ে আসতে মতি তখন তার কোলে সোমাকে নিয়ে কুদ্দুস ডাক্তারের ফার্মেসিতে নিয়ে গেলো তখনো কিন্তু মা মতিকে একটুও বাঁধা দেয়নি বরং কোলে নিতে সোমাকে বিছানা থেকে উঠিয়ে দিলো। কিন্তু এখন মতি বেড়াতে এলেই মা মতিকে চোখে চোখে রাখেন। সোমার খুব ইচ্ছে হয় মতির সাথে বসে একটু গল্প করতে কিন্তু মা নানান ছুঁতোয় সব অকাজগুলো ধরিয়ে দিয়ে সোমাকে মতির কাছ থেকে সরিয়ে ব্যস্ত রাখতে চান। মায়ের এই কড়া নজরদারীর অর্থ সোমা বুঝে কিন্তু কোন প্রতিবাদ করেনা, নীরবে কাজ করতে থাকে। মতিকে মা নিষেধ করেনা বাসায় আসতে কিন্তু মতি বেড়াতে আসলেই মা’কে প্রায়ই বলতে শুনি ‘কিরে মতি আর কত ঘোরা ঘুরি করবি ? পড়াশোনা ত শিকোয় তুলেছিস এভাবে ঘোর ঘোর না করে কিছু একটা কর’। মতি অবশ্য মায়ের এই কথার অন্তরালের কথা বুঝতে পারে কি না কে জানে।
রোজ রোজ স্কুলে যেতে সোমার ভালো লাগেনা। তবুও যেতে হয়, কারণ যে করেই হোক পাঠ্য পুস্তকগুলো গিলে গিলে তাকে শিক্ষিত হতে হবে। সোমা এবার ক্লাস এইটে পড়ছে, এইট পড়ুয়া কোন মেয়েকে মায়েরা একা একা স্কুলে ছাড়তে রাজি নন তাই স্কুলের ভারী ব্যাগ নিয়ে মা’ও সোমার পেছন পেছন হেঁটে স্কুলে যান। সোমা যখন ক্লাস রুমে তখন মা স্কুলের মাঠে আর সব অভিভাবক মহিলাদের সাথে গল্প গুজব করে সময় কাটিয়ে দেন। স্কুল ছুটি হলে মা আবার পেছন পেছন ছুটে সোমাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পথি মধ্যে এদিক সেদিক তাকালে মা ভ্রু কুঁচকাতে থাকেন কখনো গলা খাকারি দিয়ে উঠেন কিন্তু ক্লাস রুমে কি হচ্ছে মা তা দেখেন না। সোমা পড়াশোনাতে মোটা মোটি হলে আবুল স্যার সেটা মানতে নারাজ। তিনি ক্লাসে ঢুকেই বইয়ের পাতা উল্টানোর আগেই সোমাকে দাঁড় করাবেন, প্রথমেই জিজ্ঞেস করবেন হোম ওয়ার্ক করে নিয়ে এসেছে কিনা সেই সাথে এটা সেটা কত কি, তখন অন্যসব সহপাঠীরা সোমার মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সোমা প্রায়ই অসহায়ের মতো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে কোন উত্তর দেয়না। আবুল স্যার পড়াচ্ছেন, পড়াতে পড়াতে হঠাৎ করেই বলে বসেন ‘সোমা তুমি পেছনে বসো কেন ? সামনে আসো, এখন থেকে সামনের বেঞ্চে বসবে’ সোমা মাথা নীচু করে ডেস্কের পায়া শক্ত করে ধরে বসে থাকে একটুও নড়েনা, প্রচন্ড রাগ এলে আস্তে আস্তে করে খাতার পাতা ছিঁড়তে থাকে। ব্ল্যাক বোর্ডে অংক করিয়ে দেবার জন্য আবুল স্যার আর কাউকে না ডাকলেও সোমাকে প্রায়ই ডাকেন, যদিও এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক বোর্ডের সামনে এসে সোমা কখনোই কোন অংকের সমাধান করতে পারিনি তবুও আবুল স্যার চক পেন্সিল আর ডাস্টারটি সোমার হাত স্পর্শ করে আলতো করে তুলে দিবেন। সোমার ভেতরে যে আরেক সোমার বাস সেই সোমা খুব ভালো করেই বুঝে আবুল স্যারের মতলব কিন্তু কোন প্রতিবাদ করেনা, পারেনা। কিন্তু সোমার খুব ইচ্ছে করে একদিন এই চক পেন্সিল আর ডাস্টার আবুল স্যারের মুখ বরাবর ছুড়ে দিয়ে ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে যেতে কিন্তু তা এখনো হয়ে উঠেনি। স্যার যখন ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে যান তখন সহপাঠীরা নানান টিপ্পনি কাটে তখন সোমা মুখ বুজে থাকে, কখনো সখনো এক দু ফোটা চোখের জল গড়িয়ে পড়ে কিন্তু কাউকে দেখাতে দেয়না তার আগের ওড়না দিয়ে মুছে ফেলে। নীতু ম্যাডামও কম যাননা, ক্লাসে বাংলা পড়াতে এসে সোমাকে এক হাত দেখে নেন। প্রায়শই মুখ বিকৃত করে কুৎসিত ভাবে বলেন ‘কিরে সোমা চেহারা সুরতের দিকে এতো নজর দিস ক্যান, চুল ত কোমর পর্যন্ত নামিয়ে ফেলেছিস এই বয়সে। এবার আর মাথার উপরের যত্ন না নিয়ে মাথার ভেতরের যত্ন নে, এই এতোটুকুন বয়সে কি রূপ দিয়ে সবার মাথা খেতে চাস?’
আজ ছুটির দিন, সোমার বাবা বাসায়। ওহ! সোমার বাবার পরিচয় এখনো দেয়া হয়নি, তিনি একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে খুবই নিম্ন বেতনের একজন চাকরিজীবী। চাকরি হারানো ভয়ে হোক আর সততার কারণে হোক তার উপরি কোন আয় নেই তাই মাস শেষ যে কটা টাকা বেতন হিসেবে পাওয়া হয় তা দিয়ে খুব টেনে টুনে দিন পার করতে হয় সোমাদের। সোমার প্রায়ই ইচ্ছে করে ছুটির দিনে বাবা মা’কে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে কিন্তু টাকার অভাবে আর যাওয়া হয়না কোত্থাও। একটা রিক্সায় বাবা মা দুজনেরই জায়গা হয়না ভালোমতো আর সেখানে বাবা মায়ের মাঝখানে হাইফেন হয়ে থাকতে চায়না বলে সোমার রিক্সায়ও ঘুরা হয়না খুব একটা, মায়ের শরীরটা এতো বেশী বেড়ে গেছে যে তিনি যেমন সংসারে তিন চতুর্থাংশ শাসন করেন ঠিক তেমনি রিক্সার সিটেরও তিন চতুর্থাংশের দখল তার কাছে থাকে। সোমার বাবা তার শোবার ঘরে খাটের উপর বসে একটা সাদা কাগজের উপর কাঠ পেন্সিল ঘঁষে কি যেন হিসেব কষছেন, সোমা পা টিপে টিপে ঘরে ঢুকলো, বাবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলো অনেক্ষণ বাবা টের পাননি। যখনই টের পেলেন কিছুটা চমকে উঠলেন তারপর সোমার হাত ধরে টেনে খাটে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ‘কিছু বলবিরে মা?’ সোমা মাথা ঝাঁকায়, কিছু বলতে গিয়েও যেন বলতে পারেনা তারপর হঠাৎ করেই বলে ফেললো বাবা তুমি কি হিসেব করছো ? বাবা বুঝেন সোমা কিছু একটা বলতে চাচ্ছে তারপরও তার ধবধবে ফর্সা মুখটাতে হাসির রেখা ফুটাতে কিছুটা রসিকতা করে বললেন “তোর মায়ের ওজন হিসেব করছি। বিয়ের সময় ওর ওজন ছিলো মাত্র ৩৮কেজি আর বিয়ের মাত্র ষোল বছরের মাথায় সেই ওজন এখন ৮১ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। তার মানে গত ষোল বছরে তোর মায়ের ওজন বেড়েছে ৪৩ কেজি! সে হিসেবে বছরে ২.৬ কেজি, মাসে ২২৩ গ্রাম, আর দিনে ৭ গ্রাম! তোর মায়ের ওজন যে হারে বাড়ছে সে হারে যদি আমার বেতন বাড়তো তাহলে আমাদের কোন অভাব থাকতো নারে…” বাবার এই রসিকতা শুনে সোমা ফিক করে হেসে দেয় বাবা তাকে থামিয়ে বললেন আচ্ছা বাদ দে, তুই যেন কি বলতে চেয়েছিলে বলে ফেল। সোমার আর বলা হয়না তার আগেই মা ঘরে ঢুকে রেগে গিয়ে চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন কারণ তিনি আড়াল থেকে বাবার রসিকতা শুনে ফেলেছিলেন, সোমা কোন কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
ছুটির দুপুর, দুপুরের খাবার শেষ হলে বাবা মা তাদের শোবার ঘরে বসে কি নিয়ে যেন আলাপ করছেন। হতে পারে সাংসারিক বিষয়ে কোন সিরিয়াস কিছু কিংবা অন্য কিছু নিয়ে। সোমার সেদিকে কোন নজর নেই, প্রয়োজনও নেই, বাবা মায়ের মাঝখানে সোমা কখনো কথা বলতে যায়না। আকাশ কালো হয়ে আসছে, কালো কালো মেঘের দলেরা যেন গোল্লাছুট খেলতে আকাশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে। সোমা নিজের ছোট্ট ঘরের জানালার পর্দা ভেদ করে মেঘের উড়োউড়ি দেখে আর ভাবে সে যদি মেঘ হতে পারতো তাহলে তাকে আর এই চার দেয়ালের ভেতর বন্দি হয়ে থাকতে হতো না, কিংবা ছোট্ট একটা পাখি বা প্রজাপতি যাদের কোথাও যেতে নাই মানা। বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু করেছে সোমা তখন পর্দাটা নামিয়ে জানালাটা লাগিয়ে দেয় নইলে বৃষ্টির জল ঘরে ঢুকে সব কিছুই ভিজিয়ে দেবে। বৃষ্টির দাপট বেড়েই চলেছে, এবার ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমার খুব ইচ্ছে করছে বৃষ্টির জলে একটু খানি ভিজতে কিন্তু মা কখনোই ভিজতে দেবেনা। সোমা এবার পা টিপে টিপে বারান্দায় যায়, বাতাসের ঝাপ্টায় তার চুলগুলো এলো মেলো হয়ে উড়তে লাগলো, বৃষ্টির ছাঁট চোখে মুখে এসে পড়ছে তবুও বাম হাতটা বারান্দার গ্রীলে শক্ত করে ধরে ডান হাতটা বৃষ্টির জলে বাড়িয়ে দেয়। উঠোন দিয়ে বৃষ্টির জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে, সোমার মনে পড়ে গেলো এই ত মাত্র ক’বছর আগেও এরকম বৃষ্টির জলে উঠোনে ভিজতে পারতো কেউ বাঁধা দিত না, জমে থাকা বৃষ্টির জলে কাগজের নৌকা ভাসাত। আজও তার খুব ইচ্ছে করছে এই বৃষ্টির জলধারায় একটা কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিতে। সোমার চোখে জল এসে গেছে তার চুরি যাওয়া শৈশবের কথা ভাবতে ভাবতে কিন্তু বৃষ্টির ছাঁটে তার চোখের জল বুঝার উপায় নেই। বৃষ্টির এই ধারায় কাগজের নৌকা ভাসাতে না পারলেও মনের ভিতরে জমে থাকা হাজারো কথা, অভিমান, ক্ষোভ, কষ্ট, রাগ এক মুহুর্তে বৃষ্টির বয়ে চলা জলে ভাসিয়ে দেয়।
বিঃ দ্রঃ অতি সম্প্রতি শ্রদ্ধেয় ভাস্কর দা (ভাস্কর চৌধুরী) তাঁর ফেসবুকের স্ট্যাটাসের বারান্দায় একটি মেয়েকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন, সেই সাথে তিনি আমার মস্তিষ্কে তাকে ঢুকিয়ে দিয়ে আস্ত এই গল্পটা বের করে নিয়েছেন তাই এই গল্পের কৃতিত্বের পুরোটাই ভাস্কর দা’র আর ব্যর্থতার দায়টুকুন আমার। আমার এ ব্যর্থতা দূর্বল ভাষা, আনাড়ি উপস্থাপনা আর আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞানের যদিও বাতাসের ঝাপটা আর বৃষ্টির ছাঁটে গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা এলোকেশী সেই মেয়েটার মুখ আমি দেখতে পাইনি চেষ্টার শেষান্তেও তবে মেয়েটা কিশোরী ছিলো নাকি পরিণত বয়েসী ছিলো তা কেবল ভাস্কর দা-ই বলতে পারেন।
জবরুল আলম সুমনঃ গবেষক ও প্রাবন্ধিক।।