শর্ত সাপেক্ষে সংলাপে অংশ নেবে বিএনপি
রুপম হালদার,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সরকার সংলাপের উদ্যোগ নিলে বিএনপি অবশ্যই যাবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যদি সংলাপের এজেন্ডায় না থাকে, তাহলে চেহারা দেখাতে বিএনপি ওই সংলাপে যাবে না।
২৫ মে (শুক্রবার) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছিল। সুতরাং এবারের সংলাপের উদ্যোগ আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। সংলাপে যোগ দেয়ার আগে বিএনপির কোনো শর্ত আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তরিকুল বলেন, সরকারকে অবশ্যই এজেন্ডা তৈরি করে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। কারাগারে আটক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পাঁচজন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। ‘আলোচনা হতে পারে, তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল নিয়ে নয়’—প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আলোচনার পথ খোলা রাখতে না চাইলেও সরকারের কতিপয় মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক নেতারা আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেশের বাস্তবতা বুঝতে হবে। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য গণদাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেই শুধু দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব। আর শক্তিশালী গণতন্ত্র এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কার্যকর সমঝোতাই হলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। সমঝোতায় না এলে দেশে যে অবস্থা সৃষ্টি হবে, এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। ‘এক-এগারোর নায়কেরা আবার তত্পর হয়েছে’—প্রধানমন্ত্রীর এমন আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে দেশে এখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যাতে অসাংবিধানিক পন্থায় সরকার পরিবর্তনের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি যে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের জন্য সৃষ্টি হয়েছে, এটা তিনি নিশ্চয় বুঝেছেন।
সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিশ্ব মানবাধিকার রিপোর্ট ২০১১, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত ‘দি ইকোনমিস্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে যেসব তথ্য ও মতামত প্রচারিত হয়েছে, তা এত দিন ধরে বিএনপি বলে আসছে। এগুলো বিএনপির বক্তব্যেরই প্রতিফলন। বিএনপি যে সত্য বলে, এগুলো তার প্রমাণ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ, মো. শাহজাহান প্রমুখ।