সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধঃ নিহত ৩
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতদের র্যাব বনদস্যু ‘আকাশ বাহিনীর’ সদস্য বলে দাবি করেছে। ৩০ মে (বুধবার) সকালে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শাপলা খাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে নয়টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ৯৪টি গুলি ও একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতেরা হলেন, বাগেরহাটের মংলা উপজেলার সিন্দুরতলা গ্রামের ফখরুল শেখ (২৫), খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারি গ্রামের নবকুমার হালদার (৩৫) এবং মিহির রায় (২২)।
র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাব্বির রহমান ওসমানী আজ দুপুরে সুন্দরবন থেকে এ প্রতিবেদককে জানান, বনদস্যু আকাশ বাহিনীর একদল সদস্য শাপলা খাল এলাকায় স্থায়ী আস্তানা গেড়ে অবস্থান করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল ভোরে ওই এলাকায় অভিযানে যায়। শাপলা খাল-সংলগ্ন বনে আকাশ বাহিনীর ওই দলটি গোলপাতা ও কাঠ দিয়ে ক্যাম্প তৈরি করে অবস্থান করছিল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া শুরু করলে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। সকাল ১০টা থেকে ২৫ মিনিটব্যাপী গুলিবিনিময়ের পর দস্যুরা পিছু হটলে র্যাব ক্যাম্পটি দখল করে। পরে বনে তল্লাশি চালিয়ে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ, নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৯৪টি গুলি এবং ও দস্যুদের ব্যবহূত একটি ট্রলার উদ্ধার করে। তিনি বলেন, খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা এলাকার জনৈক মৃত্যুঞ্জয় সাত-আট বছর ধরে সুন্দরবনে আকাশ বাহিনী নামে একটি দস্যুদল গঠন করে জেলে-বাওয়ালিদের নৌকায় লুটতরাজ, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। এই দলটিতে অন্তত ৪০ জন সশস্ত্র সদস্য রয়েছে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী মৃত্যুঞ্জয় ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। অধিকাংশ সময়ে তিনি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বারাসাতে বসবাস করেন। দাকোপ উপজেলার তাপস মণ্ডল (৩৫) তাঁর পক্ষে আকাশ বাহিনী পরিচালনা করতেন। সম্প্রতি দাকোপের বাজুয়া থেকে র্যাব তাঁকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।