জোয়ারের পানিতে বরগুনার চরাঞ্চল ও আবাসন প্লাবিত
জাফরুল হাসান রুহান,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ পুর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর, বিষখালী ও খাকদোন নদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপকূলীয় চরাঞ্চল ও বেরীবাধের বাইরের আবাসন প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে আবাসনের বাসিন্দারা। জোয়ারের পানিতে গ্যাংওয়ে ও সংযোগ সড়ক ডুবে ফেরী চলাচল ব্যহত হয়েছে। সকাল নয়টা থেকে পরবর্তি চার ঘন্টা কোন যানবাহন ফেরী পারাপার সম্ভব হয়নি। এ কারণে বরগুনা-পুরাকাটা-আমতলীও বরগুনা-বড়ইতলা-মঠবাড়িয়ার রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা, কুপদোন, হরিণঘাটা, জ্বীনতলা, বাদুরতলা ও জিয়ামাঠ সংলগ্ন আবাসন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা বেরী বাঁধ ও অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া শহরের জিয়ামাঠ ও বড়ই তলা সংলগ্ন এলাকার সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার ডালভাঙা, গুলিশাখালী, চালিতাতলী, নলটোনা, গাজীমাহমুদ, মাঝের চর ও বুড়ির এলাকা এবং খাকদোন নদের তীরের বেরীবাধের বাইরে অবস্থানরত আবাসন ও আশ্রয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বেতাগীর বিবিচিন এলাকা, সরিষামুড়ি এলাকা ও বদনীখালী আবাসন প্রকল্প, বামনা উপজেলার পুরনো লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমতলী উপজেলার বৈঠাঘাটা, আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী, ছোটবগী, বড়বগী ও গুলিশাখালী এলাকার চরাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও জেলায় সিডর আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাuঁধর ১৫ স্থানের বাসিন্দারা আতংকে রয়েছেন। এসব স্থানের বেরীবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন ।
জেলা পানি উন্নয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণিমার কারণে ‘‘জো’’ এর প্রভাব ও মৌসুমী বায়ূ সক্রিয় থাকায় সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এ কারণে উপকূলীয় নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধারা আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কলাপাড়া আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় কিছু কিছু নিচু (লো-ল্যান্ড) এলাকা প্লাবিত হয়েছে।