সিলেটের বিভিন্ন স্থান বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেক্সঃ সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আবার কোথাও পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যায় এখনও লাখ লাখ লোক পানিবন্দি রয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য বাড়ছে হাহাকার। এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে এবং নদী ভাঙনের ফলে বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। এদিকে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে বন্যায় আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রামুতে ২ জন, চকরিয়ায় ৩ জন ও কক্সবাজার সদরে ৩ জন প্রাণ হারায়। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। আবার কিছু কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। অধিকাংশ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যেসব এলাকায় পানি কমছে সেখানে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। দু’দিনে পানিবন্দি থাকা লোকজনের মধ্যে তীব্র খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণের জন্য হাহাকার বাড়ছে। দিনের পর দিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করলেও কিছুই পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। বন্যার পানিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ভেসে যাওয়া দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জে নিখোঁজ তিন শিশুর হদিস এখনও মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের সঙ্গে ছাতক, দোয়ারাবাজার, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের আংশিক তলিয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা কুশিয়ারা নদীর সবকটি পয়েন্টেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আবদুল হামিদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেন্দিবাগ অগ্রসর যুবসংঘের কার্যালয়, ওমরশাহ তেররতন প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামেয়া ইসলামিয়া মিরাবাজার ও ঘাসিটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মধ্যে গতকাল খিচুরি বিতরণ করেন।
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে। তবে দেশের সর্ব উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী জনপদ জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারা জকিগঞ্জে পানিবৃদ্ধির কারণে উজিরপুর, বড়পাথর, খলাছড়া, বারঠাকুরী ইউপির পিলাকান্দী গ্রামের কাছে ও জকিগঞ্জ পৌর এলাকার ছয়লেন গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলেরবন্দ, পঙ্গবট ও ছয়লেন প্লাবিত হয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাবিবর আহমদ বলেন, উপজেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।