হীরণ্ময় স্মৃতি…
ইমরুল শাহেদঃ
০৮.০৮.০৮.
রাত ১ টা বেজে ১৫। ঘুমিয়ে ছিলাম, মোবাইল টা বেজে উঠল। ঘুমের মধ্যেই হ্যালো বললাম।
ও পাশে চিৎকার……শাহেদ………….…..!!!!!!!!!!!!!!!!
তোমার হুমায়ুন আহমদ আমাদের হোটেলে !!
হৃদপিন্ড আমার কক করে উঠল। আমি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম।
চিৎকার দিয়েছে আমার বন্ধু রাসেল। রাসেল আমার চেয়েও কয়েকধাপ ঊর্ধ্বে পাগলামিতে। তার সঙ্গী হচ্ছে তার প্রচন্ড সাহস এবং যে কোন ব্যাপার নিয়ে ধুন্ধুমার করা। (বর্তমানে আছে পেঠের ধান্ধায় দূরদেশ দুবাইয়ে)।
আমি তখন পার্বত্য চট্রগ্রামের কাপ্তাইস্থ বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউটে অধ্যয়নরত। পার্বত্য অঞ্চলে ওই সময় পূর্ণ নেটওয়ার্ক ছিল না। আমি থাকতাম তিন তলার ছাত্রাবাসে। সে সুবাধে মশারী টাঙ্গানোর স্ট্যান্ডের সাথে সুতা দিয়ে মোবাইল ঝুলিয়ে রেখে কিছু নেটওয়ার্ক ভিক্ষা পেতাম। হেড ফোন দিয়ে বিচিত্র ভঙ্গিতে কথা বলতে হত। এই ঝুলানো মোবাইলেই রাসেলের হঠাৎ ‘ইউরেকা’!
সে চাকরী করত হোটেল সী-গাল, ককসবাজারে। আমার তীব্র হুমায়ূন প্রীতি তার জানা ছিল। এই বিশেষ দিনে স্যার হুমায়ূন আহমদ স্ত্রী শাওনকে নিয়ে উঠেছেন হোটেল সী-গালে। রাসেল কোন এক শুভক্ষণে জানতে পারে স্যার হুমায়ূন তাদের হোটেলে। তাই সাথে সাথে আমাকে ফোন।
আমি রাসেলকে বললাম-‘ আমি জানিনা, তুমি কিভাবে স্যারের কাছে যাবা। তবে তুমি যেভাবে পার আমাকে স্যারের সাথে কথা বলাই দিবা’
রাসেল বলল-‘ আল্লাহ ভরসা’
পরবর্তী কার্যক্রম রাসেলের মুখ হতে শোনা। সে হাউস কিপিং, রুম স্প্রে বলে রুমে নক করল। স্যার নিজে দরজা খুললেন। সে সরাসরি স্যারের পা ধরে জড়িয়ে ধরল।
সে বলল- স্যার আমি রুম স্প্রে করতে আসিনি। আমি এসেছি একটি আবদার নিয়ে। স্যার এ কথা শুনার পর রাসেলকে রুমের ভিতর নিয়ে গিয়ে সোফায় বসালেন।
বললেন-‘বল, কি আবদার’
রাসেল বলল- আমার একজন বন্ধু আছে, শাহেদ……………………।।
অতঃপর আমার জন্ম প্রতীক্ষিত ফোনটি এল। আমি হ্যালো বলতে পারছিলাম না। আমার গলা খুশিতে রুদ্ধ হয়ে গেল! আমি বাকহারা! আমি আপ্লুত! আমি দিশেহারা!
স্যার বললেন- শাহেদ কেমন আছো?
আমি কি কথার জবাব দিব, কেঁদে দিলাম।
স্যার বললেন- তোমার বন্ধুর মুখে তোমার সম্বন্ধে জেনেছি। পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই। যেখানে যে অবস্থায় থাক- পড়বে।
………………………………………………আমার মোবাইল নেটওয়ার্ক শূন্য হয়ে গেল। আমি অস্থিরতায় ট্রাই করতে থাকলাম………হ্যালো হ্যালো………হায়রে আমার কপাল।
-‘শেষ হইয়া ও হইল না শেষ’।
পরদিন সকালে রাসেল ফোন করে জানাল, স্যার এবং স্যারের স্ত্রী আমার জন্য ও রাসেলের জন্য অটোগ্রাফ লিখে দিয়েছেন।
আজ স্যার দেহ নিয়ে নেই আমাদের মাঝে, রয়েছেন আমার মত কোটি হিমুর বুকের পিঞ্জরে। লক্ষ মিসির আলীর মস্তিষ্কে।
আমি স্যারকে কোন দিন সামনাসামনি দেখিনি। ইচ্ছে ছিল প্রচন্ড। সুযোগ পাইনি।
আমার ইচ্ছেটি অসমাপ্তই রয়ে গেল…………
না ফেরার দেশে ভাল থেক স্যার হুমায়ূন আহমদ।
ভালোবাসা ভালোবাসা তোমার জন্য।
তোমার হুমায়ুন আহমদ আমাদের হোটেলে !!
হৃদপিন্ড আমার কক করে উঠল। আমি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম।
চিৎকার দিয়েছে আমার বন্ধু রাসেল। রাসেল আমার চেয়েও কয়েকধাপ ঊর্ধ্বে পাগলামিতে। তার সঙ্গী হচ্ছে তার প্রচন্ড সাহস এবং যে কোন ব্যাপার নিয়ে ধুন্ধুমার করা। (বর্তমানে আছে পেঠের ধান্ধায় দূরদেশ দুবাইয়ে)।
আমি তখন পার্বত্য চট্রগ্রামের কাপ্তাইস্থ বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউটে অধ্যয়নরত। পার্বত্য অঞ্চলে ওই সময় পূর্ণ নেটওয়ার্ক ছিল না। আমি থাকতাম তিন তলার ছাত্রাবাসে। সে সুবাধে মশারী টাঙ্গানোর স্ট্যান্ডের সাথে সুতা দিয়ে মোবাইল ঝুলিয়ে রেখে কিছু নেটওয়ার্ক ভিক্ষা পেতাম। হেড ফোন দিয়ে বিচিত্র ভঙ্গিতে কথা বলতে হত। এই ঝুলানো মোবাইলেই রাসেলের হঠাৎ ‘ইউরেকা’!
সে চাকরী করত হোটেল সী-গাল, ককসবাজারে। আমার তীব্র হুমায়ূন প্রীতি তার জানা ছিল। এই বিশেষ দিনে স্যার হুমায়ূন আহমদ স্ত্রী শাওনকে নিয়ে উঠেছেন হোটেল সী-গালে। রাসেল কোন এক শুভক্ষণে জানতে পারে স্যার হুমায়ূন তাদের হোটেলে। তাই সাথে সাথে আমাকে ফোন।
আমি রাসেলকে বললাম-‘ আমি জানিনা, তুমি কিভাবে স্যারের কাছে যাবা। তবে তুমি যেভাবে পার আমাকে স্যারের সাথে কথা বলাই দিবা’
রাসেল বলল-‘ আল্লাহ ভরসা’
পরবর্তী কার্যক্রম রাসেলের মুখ হতে শোনা। সে হাউস কিপিং, রুম স্প্রে বলে রুমে নক করল। স্যার নিজে দরজা খুললেন। সে সরাসরি স্যারের পা ধরে জড়িয়ে ধরল।
সে বলল- স্যার আমি রুম স্প্রে করতে আসিনি। আমি এসেছি একটি আবদার নিয়ে। স্যার এ কথা শুনার পর রাসেলকে রুমের ভিতর নিয়ে গিয়ে সোফায় বসালেন।
বললেন-‘বল, কি আবদার’
রাসেল বলল- আমার একজন বন্ধু আছে, শাহেদ……………………।
অতঃপর আমার জন্ম প্রতীক্ষিত ফোনটি এল। আমি হ্যালো বলতে পারছিলাম না। আমার গলা খুশিতে রুদ্ধ হয়ে গেল! আমি বাকহারা! আমি আপ্লুত! আমি দিশেহারা!
স্যার বললেন- শাহেদ কেমন আছো?
আমি কি কথার জবাব দিব, কেঁদে দিলাম।
স্যার বললেন- তোমার বন্ধুর মুখে তোমার সম্বন্ধে জেনেছি। পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই। যেখানে যে অবস্থায় থাক- পড়বে।
…………………………
-‘শেষ হইয়া ও হইল না শেষ’।
পরদিন সকালে রাসেল ফোন করে জানাল, স্যার এবং স্যারের স্ত্রী আমার জন্য ও রাসেলের জন্য অটোগ্রাফ লিখে দিয়েছেন।
আজ স্যার দেহ নিয়ে নেই আমাদের মাঝে, রয়েছেন আমার মত কোটি হিমুর বুকের পিঞ্জরে। লক্ষ মিসির আলীর মস্তিষ্কে।
আমি স্যারকে কোন দিন সামনাসামনি দেখিনি। ইচ্ছে ছিল প্রচন্ড। সুযোগ পাইনি।
আমার ইচ্ছেটি অসমাপ্তই রয়ে গেল…………
না ফেরার দেশে ভাল থেক স্যার হুমায়ূন আহমদ।
ভালোবাসা ভালোবাসা তোমার জন্য।