ভারতে বন্যাঃ নিহত ১৩, নিখোঁজ ৩৮
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেক্সঃ ভারতের উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল ও জম্মু-কাশ্মীরে টানা বর্ষণ, ভূমিধস, বজ্রপাত ও বন্যায় আজ শনিবার মারা গেছে অন্তত ১৩ জন। নিখোঁজ আরও ৩৮ জন। বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ‘দ্য হিন্দু’র এক খবরে আজ বলা হয়, আবহাওয়া বিভাগ ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেওয়ার পর উত্তরাখন্ড রাজ্যের সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং দুর্গত মানুষের সহায়তার জন্য সেনা মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। খবরে বলা হয়, উত্তর কাশি জেলার উঁচু পার্বত্য এলাকায় আকস্মিক বর্ষণে রাজ্যনিয়ন্ত্রিত ইউজেভিএন লিমিটেডের আসি গঙ্গা জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের ১৯ জন শ্রমিক এখনো নিখোঁজ। একই সঙ্গে গঙ্গোরি, ডুন্ডা, উত্তর কাশি শহর এবং বারকোত এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে ১৯ জন। উত্তর কাশির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ কুমার বলেন, ‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।’ চরধামযাত্রার তীর্থযাত্রীরা আটকে গেছেন পথে। জনদুর্ভোগ বেড়েছে বহু গুণ। দুর্যোগের কেন্দ্রে আছে রাজ্যের গারোয়ল এলাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও উপশম কেন্দ্র (ডিএমএমসি) সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের অন্যান্য স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের পর বিভিন্ন দুর্যোগে আরও ১০ জন নিহত হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ উত্তর কাশি জেলায় আকস্মিক বন্যায় নিচু এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উত্তরাখন্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী যশপাল আর্য বলেন, ‘দুর্যোগে উত্তর কাশির গঙ্গোরি এলাকায় ফায়ার ব্রিগেড বিভাগের তিন জওয়ানসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।’ এ পরিস্থিতিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো গঙ্গোত্রি ও যমুনত্রি অভিমুখে চারধামযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অপর এক খবরে বলা হয়, হিমাচলে একজন নিহত হয়েছেন। রাজ্যের কুল্লু জেলায় প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেতু বন্যায় ভেসে গেছে। রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাতভর বৃষ্টির পরে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের চেনাব, তাওয়াই, উজ ও বাসন্তর নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জম্মু অঞ্চলের অনেক স্থানে নতুন করে বন্যা শুরু হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে ঘাঘড়া নদীতে পানিতে ডুবে মারা গেছে দুই শিশু। সরজু ও ঘাঘড়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিনে বরাবনকি ও ফাইজাবাদ জেলার কয়েকটি গ্রামের শত শত ঘর বন্যায় ভেসে গেছে।