ঈদের বাজারঃ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বিদেশী পণ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর আর ঈদ উল আযহা। এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করেই দেশের সব পেশার ধণী-গরিব মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। যে যার সাধ্য অনুযায়ী ঈদের পোশাক কেনা কাটা করে থাকে। আসছে পবিত্র রমজানের ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে নানা সাজে। আর নানা রঙবেরঙের বাহারী বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট করা হচ্ছে তরুন- তরুনী ও সাধারন ক্রেতাদের। বিদেশী পণ্যের কালো থাবায় আজ আক্রান্ত দেশবাসী। ব্যবসায়ীরাও এ সময় দেশী বিদেশী বাহারী পণ্য নিয়ে হাজির হয়ে যায় ক্রেতাদের মন জয় করার জন্য। বিক্রির পরিমানও বেড়ে যায় অনেকগুন। ক্রেতারা দেশী পোষাকের পাশাপাশি ছুটছে বিদেশী পোষাকের দিকেও। মানের দিক থেকে সমমানের হলেও বিদেশী পণ্যের দিকে ঝুকছে বেশী ক্রেতারা। যদিও বিদেশী পণ্যের দাম দেশীয় পণ্যের তুলনায় একটু বেশী। তবুও কিছুটা ভিন্নতা ও ডিজাইনের বাহারে মুগ্ধ হয়ে ক্রেতারা ভীর করে বিদেশী পণ্যের স্টলে। বিদেশী অনেক পোষাক বিশেষ করে জিন্স ও গেঞ্জীর কদর বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। থাইলেন্ড ও চায়না সহ কিছু নামকরা ব্র্যান্ডের দিকেই ঝুকছে ক্রেতারা। যার তালিকায় শার্ট, প্যান্ট, জুতাসহ রয়েছে নানা প্রকার পোষাক। তবে বিক্রেতাদের দাবী সব পণ্যের মূল্য ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই আছে। বিশেষ শ্রেণীর ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা বিদেশী পণ্যের সমাহার বাড়ায়। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত সবার বাজেট অনুযায়ী পোষাক পাওয়া যাবে বলে জানায় বিক্রেতারা। বিদেশী পণ্যের নিখুত ফিনিশিং ও আরামদায়ক হওয়ায় এর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া মেয়েদের পোষাকের বাহারী নামকরণও হয়েছে ভারতীয় আদলে। যেমন, ঝিলিক, বাহা, টাপুর-টুপুর ইত্যাদি।