সাতক্ষীরায় সাড়ে ৯ লাখ ভারতীয় রুপিসহ হুন্ডি ব্যবসায়ী দুই ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ডিবি পুলিশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাতক্ষীরা সীমামত্ম এলাকা থেকে সাড়ে ৯ লাখ ভারতীয় রম্নপি ও ২০ টি রূপার হারসহ হুন্ডি ব্যবসায়ী দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করার পর রূপি ও হার নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে সাতক্ষীরা সীমামেত্মর বৈকারী বাজরে এই ঘটনা ঘটে।
আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুহাসিন কাজীর ছেলে সেকেন্দার কাজী (২৪) ও একই জেলার স্বরূপনগর থানার স্বরূপনগর গ্রামের আবুল কালাম গাজীর ছেলে নুরম্নল ইসলাম গাজী (৩১)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সীমামেত্মর একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ আমান বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমামত্মবর্তী বৈকারী বাজারে অভিযান চালিয়ে হুন্ডি ব্যবসায়ী ভারতীয় নাগরিক সেকেন্দার কাজী ও নুরম্নল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ ভারতীয় রম্নপি ও ৫০ ভরি ওজনের ২০ টি রূপার হার উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সন্ধ্যায় তাদেরকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নিচ তলায় গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে আনা হয়। সেখানে অনেক দেন দরবার করার পর ভারতীয় রূপি ও রূপার গহনা রেখে দিয়ে রাতেই দুই ভারতীয়কে বৈকারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পুশ ব্যাক করা হয়। হুন্ডির মোটা অংকের ভারতীয় রূপি সহ দুই ভারতীয়কে আটকের পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়ায় সাতক্ষীরাসহ সীমামত্ম এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সীমামেত্মর বৈকারী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আফসার আলী দফাদার জানান, সাড়ে ৯ লাখ ভারতীয় রূপি সহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করার পর সন্ধ্যায় তাদেরকে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের অফিসে নেয়া হয়। ভারতীয় সব রূপি ও রূপার গহনা কেড়ে নিয়ে পরে রাতে তাদেরকে বৈকারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পুশব্যাক করা হয়। একই অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ সরদার ও আব্দুল হান্নান।
এ ব্যপারে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা গোয়েনদা পুলিশের ওসি মোঃ আমান সীমামত্মবর্তী বৈকারী এলাকার গরম্নর খাটালে অভিযানকালে হুন্ডি ব্যবসায়ী সন্দেহে দুইজনকে আটক করার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের কাছে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি ভারতীয় সাড়ে ৯ লাখ রূপিসহ গহনা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কুশখালী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদসহ স্থানীয় আ’লীগের কয়েকজন নেতা তাদেরকে বাংলাদেশী নাগরিক ও নিজেদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করে। পরে আ’লীগ নেতাদের অনুরোধে এবং পুলিশ সুপারের নির্দ্দেশে গোলাম মোর্শেদ এর জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে যানতে পারলাম তারা নাকি ভারতীয় নাগরিক ছিল।