বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০১-০৬ পর্যন্ত দেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করা হয়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলার অষ্টম বার্ষিকীতে ২১ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ আহ্বান জানান। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘাতক ও পরিকল্পনাকারীদের বিচার সম্পন্ন করতে তিনি সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেদিনের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলা সম্ভব ছিল না। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছিল। সেদিন হামলার পর পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের লাশ ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে এবং লাঠিচার্জ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর লক্ষ্য ছিল হামলাকারীদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০১-০৬ পর্যন্ত দেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বাংলা ভাইয়ের উত্থান, সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলা, সারা দেশে ৫০০ জায়গায় ধারাবাহিক বোমার বিস্ফোরণ ও আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করেন।