২৭ আগষ্ট টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বৈঠক
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সাব-গ্রুপের প্রথম বৈঠক আগামী ২৭ আগস্ট নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এ বৈঠকে বহুল বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কিত জরিপের কর্মপরিধি নিয়ে আলোচনা হবে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশ দলে বিশেষজ্ঞ, সরকারি কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-এর বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা থাকবেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ডেস্কের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সাব-গ্রুপের সদস্য মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন, দু’দিনব্যাপী এ বৈঠকে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা টিপাইমুখ বাঁধের জটিল বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবেন এবং যৌথ জরিপ পরিচালনার কর্মপরিধি নির্ধারণের মত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে । ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৪ জুলাই নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাব-গ্রুপের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ ভারত নেবে না।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভারতের ক্ষমতাসীন জোট ইউপিএ’র বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং পার্লামেন্টে ‘ল্যান্ড বাউন্ডারী এগ্রিমেন্ট’ অনুমোদনের বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জোট নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ইউপিএ জোটের অন্যতম অংশীদার তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ দু’টি বিষয়ে তার আরো কিছু জানার আছে। ভারতীয় সংবাদ মধ্যম জানিয়েছে, বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছেন, শিগগিরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা কোলকাতায় গিয়ে এ বিষয়ে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আলোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, মমতার আপত্তির অজুহাতে ভারত তিস্তা চুক্তি নিয়ে গড়িমসি করছে। তিস্তাসহ বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদীরই উৎস হয় ভারতে অথবা ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসব নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।