বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্পে নৌ-চলাচলে খনন, পানি দূর্গন্ধ এবং দূষণমুক্ত করার মতামত
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নানা নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত কংক্রিটের তৈরি ঢাকা মহানগরীর পানির উৎস সংরক্ষনে এবং নগরের জনগনের বিনোদনের জন্য এক হাজার ৪৮০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা খরছে ২০০৭ সালে ২৮ ডিসেম্বর বেগুরবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০০৯ সালের জুনে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে প্রকল্পটি ২ বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বর্তমানে প্রকল্পটির পূর্বের পস্ন্যান অনুযায়ি না হলেও এর খরচ দাঁড়াবে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি। পানির উৎস সংরÿনে এই প্রকল্পটি পারির আধার রÿায় একটি ইতিবাচকদিক। আজ সকাল ৬.৩০ টায় পরিবেশবাদীদের একটি দল পীস এর মহাসচিব ইফমা হোসেন এর নেত্রীত্বে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে দেখা যায়, হাতিরঝিলের পানিতে এখনও দূর্গন্ধ রয়েছে, নৌ-চলাচলের মত অবস্থা এখনো তৈরি হয় নি, এখনও কয় একটি স্থাপনা ঝিলের মধ্যে রয়েছে।
বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্পটি ঢাকার নৌ-যাতায়াতের একটি বড় মাধ্যম বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে এখানে নৌ-চলাচলের উপযোগী নয়। ঝিলের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দেয়ার ফলে এখনো সেগুলো খনন করা হয়নি। জিলটি খনন করে এখানে নৌ-যাতায়াত এর ব্যবস্থা করা গেলে রামপুরা, গুলশান এলাকার মানুষ খুব সহজে নৌ-পথে কম সময়ে কাওরানবাজার, ফার্মগেট এলাকায় আসতে পারবে। পরিদর্শনে দেখা যায়, পুরো প্রকল্পটিতে মানুষের হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে রাখা হয়েছে। ওয়াকওয়ে গুলোর বিভিন্ন স্থানে এখনো অসর্ম্পূন্ন রয়েছে। যেই ব্রীজগুলো হয়েছে তা এখনো পুরোপুরি নির্মান হয়নি। রাসত্মাগুলো ও ফুটপাতগুলো অসম্পূর্ন্ন রয়েছে।
পরিদর্শনে দেখা যায় বর্তমানে যে পরিমান কাজ রয়েছে তাতে আগামী ডিসেম্বর নাগাত প্রকল্পটি শেষ হবে না। তাই ভাল কাজের জন্য যদি আরো সময় লাগে তা হলে এটির উদ্বোধনী পিছানো যেতে পারে। কারণ তাড়াহুড়া করে কাজ শেষ না করে এটি উদ্বোধন করলে এর যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাসত্মবায়িত হবে না।
পরিদর্শন দলে সদস্য জলাধার রÿা আন্দোলনের আহবায়ক ইবনুল সাইদ রানা বলেন বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল মানুষের বিনোদন উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এখানে প্রচুর মানুষে সমাগম হবে। এর পরিবেশ সুন্দর রাখতে পানিকে দূগন্ধ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে, মানুষ যেন সহজে গুলশান, রামপুরা থেকে নৌপথে সহজে কম খরচে কাওরানবাজার, ফার্মগেট, সাতরাসত্মার মোড় আসতে পারে তার ব্যবস্থা করা, প্রকল্প এলাকার সুয়ারেজ লাইনের পানি ঝিলের সাথে সংযোগ না করে তার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা, হাঁটার জন্য ফুটপাত আরো চৌরা করা, নৌ-যাতায়াতের জন্য খনন করার দাবী জানান।
পরিদর্শক দলে ছিলেন সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক ইবনুল সাঈদ রানা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের জিয়াউর রহমান লিটু , আইএফপির নির্বাহী আরিফুর রহমান আরিফ, পিস এর মহাসচিব ইফমা হোসাইন, খিল গাও সমাজ কল্যান সমিতির সভাপতি এবং পরিবেশ বাচাও আন্দোলনের সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নূর আহাম্মদ, বিআরসিডির মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।