সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যাঃ দুই জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাংবাদিক ফরহাদ খান ও স্ত্রী রাহিমা খানম চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায়ে ২ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করা হয়েছে। মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দু’জন হচ্ছেন নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদ ওসান। ১১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এ রায় প্রদান করা হয়। গত ২ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতুব্বর সাংবাদিক ফরহাদ খানের ভাগ্নে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদ ওসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, নাজিমুজ্জামান ইয়ন সম্পর্কে সাংবাদিক ফরহাদ খানের ভাগ্নে।
ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১১ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক এবিএম সাজেদুর রহমান।
নিহত দম্পতির একমাত্র সন্তান ইতালী প্রবাসী আইরিন পারভীন জানান, রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি। এখন রায় কার্যকরের অপেক্ষায় আছি।
সাংবাদিক ফরহাদ দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পরপরই মামলাটির তদন্ত শুরু করেন পল্টন থানা পুলিশের এসআই জিল্লুর রহমান। কিন্তু বিষয়টি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় তদন্তের ভার দেয়া হয় ডিবি পুলিশকে। আসামি নাজিমুজ্জামান ইয়নের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলার আলোয়া গ্রামে। তার পিতার নাম আনিসুজ্জামান। আসামি ওসানের বাড়ি ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম শামসুল হক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর ৭৭, নয়াপল্টনের বাসার ২য় তলার বেডরুম থেকে সাংবাদিক ফরহাদ খান ও তার স্ত্রী রাহিমা খানমের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নিহত ফরহাদ খান দৈনিক জনতার জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিনই ফরহাদ খানের ছোট ভাই আব্দুস সামাদ খান বাদী হয়ে আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই আসামি ইয়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তিমতে আসামি রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজু ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন। পরে আসামিদের স্বীকারোক্তি মতে সাংবাদিক ফরহাদ খাঁর ব্যবহৃত মোবাইল সেট, চুরি করা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু দুটি উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। চার্জশিটের ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ৩৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান জানান, আসামিরা মামলার শুরু থেকেই কারাগারে আটক আছেন।