সাতক্ষীরা সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে তাকে যশোরের শার্শায় বদলী করা হলেও অজ্ঞাত কারতে তার বদলী স্থগিত করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান চাকরীর শুরু থেকে নানা ধরনে অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে যুক্ত। তিনটি স্টেশনে চাকরী করলেও প্রতিটি স্টেশনে তার বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর দূর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, তিনি প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত থেকে শুরু করে আগের কর্মকর্তার তৈরী তালিকা ইচ্ছেমতো সংযোজন বিয়োজন করে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন তিনি। গত বছরের অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে কোন রেজুলেশন অনুমোদন ছাড়াই নিজের সুবিধামতো ১৭ জনের নাম দিয়ে তাদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করেছেন। এমনকি ক্যাপিটেশন গ্রান্টের টাকা ভুয়া নামে উত্তোলন করে প্রতিটি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন বরাদ্দের টাকা ক্রস চেকের মাধ্যমে প্রদানের সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা সোনালী ব্যংকের প্রধান শাখা থেকে বেশ কয়েকটি এতিমখানার টাকা বেনামে ক্যাশ করেন তিনি। এমনকি সরকারী ঋনের সুদের টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করে কয়েক লাখ টাকা পকেটস্থ করেন তিনি। এছাড়া তার অফিসের অধিনস্থ লাবসা ইউনিয়নে কোন সুদের টাকা কেন্দ্রিয় ব্যাংক সুদে জমা না দিয়ে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন।
সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অফিসের মোটর সাইকেল অফিসারের নিজের গ্রামের বাড়ি কলারোয়ায় তার পরিবারের লোকজন ব্যবহার করেন। অথচ তিনি নিজে শ্বশুরের দেয়া উপঢৌকনের মটরসাইকেলটি ব্যবহার করছেন। যা নিয়ে খোদ তার অফিসের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার অফিসের সরকারী টেলিফোন থেকে আরেকটি সংযোগ বাসায় নিয়ে পারিবারিক কাজে সরকারি টেলিফোন ব্যবহার করে চলেছেন তিনি। সুত্রটি আরও জানান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আনুসঙ্গিক খাতের এক বছরের ৩৮ হাজার টাকা তিনি মাত্র তিন মাসে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২১ অক্টোবর তাকে যশোরের শার্শা উপজেলায় বদলী করলেও তার শ্বশরের মাধ্যমে একটি বিশেষ মহলকে ম্যানেজ করে জোর তদ্বীরের মাধ্যমে তার বদলীর আদেশ স্থগিত করিয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একজন প্রভাবশালী জামায়াত নেতার জামাতা তিনি। সেই প্রভাবে তাকে কেউ সাতক্ষীরা থেকে সরাতে পারবেনা বলে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন। এসব অভিযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে গেলে জামায়াত ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।