রাজশাহীতে জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষঃ আহত ৫০
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রাজশাহীতে ৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশের ৩০ জন সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত লোকজনের মধ্যে নগরের বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম (৩৫), ইমাউল (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৪০); কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন (৩৪) ও সাইফুল ইসলাম (৩৫); ওয়াসিম (৩৫), মতিউর রহমান (৩০), গাড়িচালক বসির উদ্দিন (৩০) এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিককে (২০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) গোলাম মোহাম্মদ শেখ বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের হামলায় পুলিশের অন্তত ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অন্তত ১০ জনকে।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কয়েকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে হামলা করে। পরে তাদের উদ্ধার করতে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।’ প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ওই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ কমপক্ষে ৩০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়া এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে থাকে। মিছিলটি সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকার বিশাল কনফেকশনারির সামনে গিয়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে পুলিশের তিনজন সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ব্যাগের মধ্যে থাকা রড ও লোহার পাইপ নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। তাঁরা পুলিশের সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মোশাররফের কাছ থেকে রাইফেল কেড়ে নিয়ে সেটি দিয়ে তাঁদের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা একটি রাইফেল ভেঙে ফেলেন। এ সময় সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে শতাধিক পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। তারা ওই তিনজনকে উদ্ধার করতে গেলে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাগের মধ্য থেকে ভাঙা ইট, পাথর ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সাহেববাজার এলাকা, মালোপাড়া, সোনাদীঘি, রাজারহাতা এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পিছু হটেন।