বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় অপহরনের সাত দিনেও কিশোরী উদ্ধার না হওয়ায় শংকিত পরিবার
চপল সাহা,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌর এলাকার দুবড়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের কিশোরী অপহরনের সাত দিনেও অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পরের দিন অপহরনকারীর বাবা দুলাল হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তালোড়া ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্ধনে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাই করে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই গ্রামের ১৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর পর থেকে অপহরনকারী পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ভাবে ওই হিন্দু পরিবারকে হুমকি ধামকি দেয়ায় অপহৃতের পরিবাররা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালোড়ার দুবড়া গ্রামে শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি হিন্দু পরিবারের বাস। নরেশ চন্দ্র দাসের কিশোরী মেয়ে তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। বিদ্যালয়ে যাবার পথে প্রায় সময়ই ওই গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে আলামিন(১৮) উত্যক্ত করতো। এব্যাপারে গ্রামে কয়েকবার সালিস হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ওই মেয়ে বিদ্যালয়ে যাবার পথে আলামিন তার সঙ্গীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ওই রাতে নরেশ থানায় গিয়ে পাঁচজনকে আসামী করে অপহরণ মামলা করে। পুলিশ পরের দিন অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী অপহরনকারীর বাবা দুলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করলে উচ্ছৃঙ্খল লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছ থেকে আসামীকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে হুকুমের আসামী করে ১৫ জন সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তালোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তাঁর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, রাজনীতিক ভাবে হেয় করা ও আগামী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুপচাঁচিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি অসীম দাস বলেন, জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার ও মেয়ের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বগুড়া জেলার সহকারি পুলিশ সুপার(বি সার্কেল) আশরাফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘চেয়ারম্যান আসামী হবার পর কীভাবে অফিস করছে, তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দিচ্ছি।