কৃষকের অধিকার নিশ্চিত হোক
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভঃ অগ্রহায়ণ হেমন্তের দ্বিতীয় মাস। গ্রাম-বাংলার মাঠে মাঠে এ সময় ধান কাটার ধুম পড়ে যায়। ধান কাটা, ঝাড়াই-মাড়াই এবং সংরক্ষণের কাজে কেটে যায় কৃষাণ-কৃষাণীর সারাবেলা। শীতের আগমনী বার্তা ভেসে বেড়ায় সন্ধ্যার বাতাসে। শীতকালীন আগাম সবজি উঠতে থাকে গ্রাম ও শহরের হাট-বাজারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো হিংস্র ছোবল না পড়লে এ মাসটা হয়ে ওঠে গ্রামীণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দমুখর। গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে বয়ে চলে আনন্দের বন্যা ও নবান্নের উৎসব।
নবান্নের মাঝেও কৃষকের সুতীক্ষè দৃষ্টি থাকে আগামী ফসলের দিকে। রবি মৌসুমের ফসলের প্রতি পরিকল্পনা করে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের চাষাবাদের। পরিচর্যায় মনোনিবেশ করে সরিষাসহ অন্যান্য সবজি ফসলের প্রতি। এভাবে কেটে যায় কৃষকের সকাল-সন্ধ্যা।
আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান অপরিসীম। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন তথা স্বনির্ভরতা অর্জনে আবহমানকাল ধরে কৃষি খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার জাতীয়ভাবে ‘কৃষি দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পৃথিবীর বহু দেশে অনেক আগে থেকে জাতীয়ভাবে কৃষক দিবস পালিত হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন বেশি দিনের নয়। কৃষি সাংবাদিক শাইখ সিরাজের লেখা থেকে জানা যায় খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কৃষি দিবস পালনের রেওয়াজ আছে। আইওয়াতে ২০০৫ সাল থেকে কৃষি দিবস পালন শুরু হয়েছে। সেখানে তারা ১০ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী কৃষি দিবস পালন করে, উত্তর ক্যারোলিনাতে ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ আগস্ট এ ৩ দিন ১১ পর্বে উদযাপিত হয় কৃষি দিবস। যুক্তরাষ্ট্রের কিমব্যালে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১৩ পর্বে পালিত হয়েছে ৮৫তম কৃষক দিবস। আফগানিস্তানে ইংরেজি ২০ মার্চ নওরোজ উদযাপনের দিন পালিত হয় কৃষি উৎসব। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় ‘যাসনি দেহকান’ বা কৃষকের উৎসব।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে ‘কৃষি দিবস’ পালিত হয় ২০০৮ সালের ১ অগ্রহায়ণ, ১৫ নভেম্বর। জাতীয় কৃষি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘কৃষিই সমৃদ্ধি’। প্রতি বছর ১ অগ্রহায়ণ এ জাতীয় কৃষি দিবস পালন হবে। জাতীয়ভাবে প্রতি জেলা-উপজেলায় এ দিবস উপলক্ষে কৃষি মেলার ব্যবস্থা করা হয়। কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রেষ্ঠ কৃষককে জেলা ও উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষি যন্ত্রপাতি উপহার দিয়ে পুরস্কৃত করে কৃষি কাজে আরো আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।
আমাদের দেশে গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের তুলনায় জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ; কিন্তু খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ, ষাটের দশকে যেখানে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধান হিসেবে পরিচিত ছিল ইরি-৫ ও ইরি-৮, কালের বিবর্তনে সেখানে এ দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধ করেছে ৫৬টি উফশী জাতের ধান, ২টি দেশীয় হাইব্রিড জাত ও আমদানিকৃত ১০টি হাইব্রিড ধানের জাত। এসব জাত অধিক ফলনশীল বিধায় কৃষকদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে উপসহকারী কৃষি অফিসারা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। ফলে দেশে উফশী ও হাইব্রিড ধানের আবাদ দ্রুত বাড়ছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, অগ্রহায়ণ মাস বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সময় রোদ পড়ে এমন উর্বর ও সেচ সুবিধাযুক্ত জমি বীজতলার জন্য নির্বাচন করতে হবে। ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে এবং চাষের আগে প্রতি বর্গমিটার জায়গার জন্য ২ থেকে ৩ কেজি জৈবসার দিতে হবে। পানি দিয়ে জমি থকথকে কাদা করে ১ মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে বীজতলার প্লট তৈরি করতে হবে। প্রতি ২ প্লটের মাঝে ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার নালা রাখতে হবে। এ নালার সাহায্যে সেচ, নিষ্কাশনসহ প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা যাবে। প্রতি বর্গমিটার বীজতলায় ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম বীজ বোনা দরকার। বীজ বোনার আগে পুষ্ট ও পরিষ্কার বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রেখে দিতে হবে পরবর্তী সময় মাটির পাত্রে জাগ দিয়ে (৬০ থেকে ৭০) ঘণ্টা রাখতে হবে। অঙ্কুর গজানোর পর অঙ্কুরিত বীজ বীজতলায় ছিটিয়ে বপন করতে হবে। ১ বর্গমিটার বীজতলার চারা দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ বর্গমিটার জমি রোপণ করা যায়। বোরো ধানের উন্নতজাতগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ বিআর ১, ২, ৩, ৬, ৭, ৮, ৯, ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ এবং ব্রি-ধান ২৮, ২৯, ৩৫, ৩৬। তাছাড়া সারা অগ্রহায়ণ মাস গম বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। ভালো ফলনের জন্য আধুনিক জাত, ভালো বীজ, পরিমিত সেচ এবং সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন।
এ সময় রোপা আমন ধান কাটার পুরো মৌসুম। ধান কাটার সময় একটু খেয়াল করে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি) গোড়া রেখে ধান কাটা উচিত। এতে মাটিতে কিছু জৈব পদার্থ যোগ হবে। তাছাড়া রোপা আমন ধানে উফরা রোগের আক্রমণ হয়ে থাকলে ক্ষেতের নাড়া ক্ষেতেই পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ইতিমধ্যে আলু, মিষ্টি আলু, তিসি, চিনা, কাউন, খেসারি, মসুর, মটরশুঁটি, ছোলা, সয়াবিন, মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুন লাগিয়ে না থাকলে এ মাসেই এসব ফসলের বীজ বপনের কাজ শেষ করতে হবে। শীতকালীন সবজি যেমনÑ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, ওলকপি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ফসলের চারার গোড়ায় মাটি তুলে দেয়া দরকার। চারার বয়স ২ থেকে ৩ সপ্তাহ হলে ইউরিয়া এবং এমওপি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। চাষাবাদ করতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিতে পারেন কৃষকেরা। এ ছাড়া এ মাসে গবাদিপশুর বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে সে জন্য পশু ডাক্তারের সহায়তা নিতে পারেন উপজেলা পশুসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে। এ মাসে অন্তত একবার পুকুরে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলায় মৎস্য অফিসে গিয়ে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ নবান্ন উৎসব কৃষকের কাছে প্রায় স্মৃতির চিলেকোঠায় ওঠার উপক্রম হয়েছিল। ১ বৈশাখে পান্তাভাত খাওয়ার মতো শহরের উৎসাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোই নবান্ন উৎসবকে মূলত জিউয়ে রেখেছিল। ১৯৮২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কৃষিকে অবহেলা এবং বিএডিসিকে নিষ্ক্রিয় করে রেখে সবার মধ্যে এরূপ ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয় কৃষি আসলে একটা অলাভজনক খাত। ২০০৮ সালে যখন বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট, বাংলাদেশে দুই দফা বন্যা এবং সিডরের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে প্রায় লন্ডভন্ড করে দেয় এমনিক আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত চাল রফতানির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন টালবাহানা শুরু করে তখন আমাদের জাতীয় নেতাদের বোধোদয় হয়। তারা কিছুটা হলেও বুঝতে পারেন জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কৃষিকে গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই। এ সংকট সময়ে আমাদের দেশের কৃষকরা বোরো, আমন, আলুসহ শস্যের বাম্পার উৎপাদন করেন যার ফলে সংকট আয়ত্তের মধ্যে আসে।
দিনাজপুরে চেড়াডাঙ্গির কৃষক সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা কৃষককে জাতীয় বীর ও দেশের সবচেয়ে বড় নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন আর এ কথার স্বীকৃতি দিতেই এ আয়োজন। ‘জাতীয় কৃষি দিবস’ পালনের জন্য সরকার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে এর মধ্যে প্রধান আকর্ষণ ছিল ধান কাটার উৎসব। এছাড়া দিবসটি স্মরণ করে রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টা একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেছিলেন। প্রথমবার জাতীয় দিবস পালন করতে ৯৩ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছিলো। হাজারো দিবসের মধ্যে একটি দিবস নির্ধারিত হয়েছে, যাতে দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
হাজারো সমস্যার আবর্তিত হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি, লাখো সমস্যায় জর্জরিত আমাদের কৃষক। সচেতনতার অভাবে প্রতিদিন ইঞ্চি ইঞ্চি করে কমছে কৃষিজমি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বার বার কেড়ে নিচ্ছে কৃষকের মুখের গ্রাস, দাদন ব্যবসায়ীর শোষণে আর সার্টিফিকেট মামলায় হাতছাড়া হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের কৃষিজমি। কোনো আগাম সঙ্কেত ছাড়াই বাড়ছে সার, ডিজেল, কীটনাশকের দাম, জমি বন্ধক রেখে দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা এনে চড়া দামে কিনতে হয় ভেজাল বীজ, ভেজাল সার ও কীটনাশক। এতে কখনো জমিতে গাছ হলেও ফসল ফলে না, মাটি হয় বিষাক্ত, অনাক্ষিত পোকামাকড় বাসা বাঁধে ফসলের জমিতে, সর্বনাশ হয় কৃষকের। সরকার মাঝে মধ্যে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার কথা ঘোষণা করে বা দেয়, কিন্তু কৃষক জানেস না ভর্তুকির মর্মার্থ কী? উপজেলা কৃষি অফিস ও ব্লক সুপারভাইজারের দায়িত্ব কী? এছাড়া কৃষক সরাসরি সরকারি বরাদ্দ আর ভর্তুকির সুফলও পায় না। সরকারি ভর্তুকি না হলে কৃষককে কত টাকার সার কত টকায় কিনতে হতো তাও জানেন না। তিনি জানেন না, জানার চেষ্টাও করেন না। কৃষক চান শুধু কৃষি উৎপাদনের জন্য কৃষি উপকরণ ও অনুকূল পরিবেশ। সেই উপকরণ আর পরিবেশ ছাড়াই প্রতিকূলতার মাঝে যে ফসল উৎপাদন করেন তার ন্যায্যমূল্যও তিনি পান না। কৃষকের ফসলের লাভের অংশ চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে। এ কথা আজ সর্বজন স্বীকৃত, দেশের খাদ্য দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পরে। যেহেতু প্রতি বছরই কৃষি দিবস পালন করা হবে, সেহেতু গ্রামে গ্রামে কৃষি সমবায় সমিতি গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এতে করে কৃষি দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষকের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কৃষক জানতে পারবেন সরকারি ভর্তুকি তারা কী পরিমাণ পাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের দায়িত্ব কী, সরকার থেকে উন্নতমানের বীজ ও সার কীভাবে-কখন পাওয়া যাবে। তারা সরাসরি সরকারের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন কখন-কীভাবে কৃষি উৎপাদনে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের কৃষকরা প্রান্তিক চাষি। অভাব তাদের নিত্যদিনের সহচর। এতে ডিজেল কেনার টাকা অনেক সময় অন্য খাতে খরচ হতে পারে। তাছাড়া ভর্তুকির টাকা সংগ্রহ ও তেল কিনতে আলাদাভাবে সময় ব্যয় করলে এতে তার চুলায় হাঁড়ি ওঠা বন্ধ হওয়ার অবস্থাই সৃষ্টি হতে পারে।
জাতীয় কৃষি দিবস গ্রামবাংলার কৃষকের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সষ্টি করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কৃষকের এ উদ্দীপনাকে কাজে লাগোনো এবং বাস্তবরূপ দেয়া সরকারের দায়িত্ব। প্রতি বছর কৃষি দিবসে কৃষকের জন্য চমকপ্রদ ঘোষণা থাকতে হবে। কৃষি সমবায়ের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষক, প্রান্তিক কৃষক, বর্গাচাষি চিহ্নিত করে তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কৃষিতে উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে কোটার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভবিষ্যতে বছরের এ দিনটিতে কৃষকের অভিযোগ শুনতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে তা সুরাহা করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে অঞ্চল ভাগ করে ত্রৈমাসিক ওয়ার্কশপের আয়োজন করে কৃষককে অভিহিত করতে হবে। এ ব্যবস্থাগুলো বাস্তবরূপ দিতে পারলে কৃষি দিবস উদযাপন সফল হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল, কসমেটিক থেকে শুরু করে সব কিছুই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। আর আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে এসব কিছু আমদানি করতেই। অথচ শুধু কৃষি খাতকে যদি আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারি তবে শিল্প খাতে কাঙ্খিত অগ্রগতি সম্ভব হবে, আমরা পারবো উন্নতির সোপান পাড়ি দিয়ে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছাতে। অন্যথায় কৃষি দিবস যদি শুধু দিবস পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে তবে আমদানি আর সাহায্যনির্ভর জাতি হিসেবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভঃ সম্পাদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কম।।