সাতক্ষীরায় ওয়াপদার জমিতে মাদ্রাসার বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ীতে সরকারী হুকুম দখলকৃত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে ৫ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা প্রতিকার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরা -বৈকারী রোডের আবাদের হাট এলাকার রাস্তার উত্তর পাশে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ৫১ নং বিহারীপুর মৌজার এস এ ২৩৯ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল আজিজ বিশ্বাস। তিনি ওই সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছে। প্রসংগত সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কটি পূর্বে ছিল ওয়াপদার ভেড়ী বাঁধ। ক্রমান্বয়ে ওই বাঁধ এর উপর দিয়ে জনসাধারণের ব্যাপক চলাচলের কারণে রাস্তা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ওয়াপদা ভেড়ী বাঁধে মাটি দেয়ার সুবিধার্থে এস এ ২৩৯নং খতিয়ানের ৩৭ দাগে ১০শতকের মধ্যে ৪শতক জমি ১৯৬১-৬২ সালে ১৮ নং এল এ কেসের মাধ্যমে হুকুম দখল করে। প্রয়োজনের তাদিদে ১৯৬৩-৬৪ সালে ১০৫ নং এল এ কেসের মাধ্যমে ওই খতিয়ান থেকে ৩৭ দাগের বাকী ৬ শতক জমি, ৮নং ১১ শতকের মধ্যে ৭শতক জমিসহ মোট ১৭ শতক জমি হুকুম দখল করে। নিয়ম অনুযায়ী হুকুম দখলকৃত সম্পত্তি রেকর্ডীয় মালিকগণ ব্যবহার বা দখল রাখতে পারবে। তবে প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ মাটি নিতে পারবে। আগরদাঁড়ী আমিনিয়া মাদ্রাসা অতিলাভ ও লোভের বশবর্তী হয়ে ২৩৯ নং খতিয়ানের ২১ শতক জমি বর্ণিত আব্দুল আজিজ বিশ্বাসকে ভুল বুঝিয়ে ১৯৭৮ সালে মাদ্রাসার নামে একটি দানপত্র করিয়ে নেয়। বর্তমানে আব্দুল আজিজ বিশ্বাসের পুত্র ও ওয়ারেশগণ জানান, ওয়াপদার হুকুমদখলকৃত সম্পত্তি অবমুক্ত না করে আগরদাঁড়ী কামিল মাদ্রাসা অন্যায় ভাবে ১২টি দোকান তৈরী করে ৪৮ লক্ষ টাকায় দোকান বন্দোবস্ত বা ভাড়া দিয়েছে। বাকী জমিতে ৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ফাউন্ডেশন করার কাজ শুরু হয়েছে। তারা উক্ত কাজ বন্ধ করা সহ জবরদখলকৃত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত প্রতিকার দাবী করেছেন।