রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ।। আতঙ্কে নগরবাসী
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ অবরোধের আগের দিন রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও বিজয়নগর, মালিবাগে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। ৮ ডিসেম্বর (শনিবার) দুপুর ও সন্ধ্যার পর পৃথক ঘটনাগুলো ঘটে। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। অথচ এর আগে থেকে সহিংসতা রোধে পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম, প্রেসক্লাব, দৈনিক বাংলার মোড়, মতিঝিলসহ রাজধানীতে রাস্তার দুধারে র্যাব-পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। ঘটনার আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে ৪০-৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। এরই মধ্যে লোকজনের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট-অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। অপর একটি প্রাইভেটকারেও অগ্নিসংযোগ দিয়ে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দমকল বাহিনীর লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি। সন্ধ্যার দিকে মালিবাগে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দমকল বাহিনীর লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সময় মিরপুর ও কারওয়ান বাজারে পৃথক দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ দুটি এলাকা থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রমনা থানার ওসি শাহ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, অবরোধের সমর্থনে পিকেটাররা এ কাজ করতে পারে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজকের অবরোধ কর্মসূচি বিএনপির একার নয়। এর সঙ্গে জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের অন্য শরিক দলগুলোও আছে। জামায়াত-শিবির এ সুযোগে পুলিশের ওপর, চোরাগোপ্তা হামলা তথা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তাদের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকেও ব্যবহার করা হতে পারে। হামলার টার্গেট হতে পারে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। এ কারণে শনিবার দুপুরের পর থেকে পল্টন মোড়, নয়া পল্টন, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলার মোড়, বায়তুল মোকাররম, মিরপুর, ফার্মগেট, পুরান ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ৪৯ থানা এলাকার দুই শতাধিক স্থান বা স্পটকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এসব স্থানে পোশাক পরিহিত পুলিশকে রাখা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে জলকামান, কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান-মোড়ে বসানো হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট। স্থান বিশেষে বসানো হয়েছে গোপন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। অবশ্য বিকালের পর থেকে আতঙ্কে রাজধানীর সড়কগুলোতে যান চলাচল করতে কম দেখা যায়।