বিদ্যা’র বিয়েঃ মন্দিরে সাদামাঠা আয়োজনে!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ থার্মোমিটারের পারদ নামবে কি নামবে না, সেই নিয়ে দ্বিধায়। কিন্তু বিদ্যা বালনের অনুরাগীদের কপালে ঘাম। উত্তেজনার, কিছুটা বা হতাশারও। শেষমেশ কি না মুম্বইয়ের এক মন্দিরে বিয়ে করবেন ‘বিদ্যা ম্যাডাম’। পাত্রও তো যে সে নয়। ইউটিভি-র সিইও সিদ্ধার্থ রায় কপূর। বিয়ে তো হওয়ার কথা রাজকীয় ভাবে। সেখানে মন্দিরে সাদামাঠা বিয়ে? জল্পনায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে আম মুম্বইকর থেকে শুরু করে বলিউডের অন্দরমহলেও। আসলে নিজের বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই রহস্যের খাসমহল বানিয়ে রেখেছিলেন ‘কহানি’-র নায়িকা। বিদ্যা-ঘনিষ্ঠদের একাংশের দাবি, সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককেও প্রচারের আলোয় আনতে চাননি তিনি। এমন কী, আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের বিয়ের কথা স্বীকারও করেননি বিদ্যা। যা শোনা যাচ্ছে সবই কানাঘুষো। যেমন দিনকতক আগেই জানা গিয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন বছর চৌত্রিশের বিদ্যা। এ দিনের সংযোজন, শুক্রবার সকালে চেম্বুরের শ্রী সুব্রমহ্ম সমাজ মন্দিরে বিয়ে সারবেন বিদ্যা-সিদ্ধার্থ। প্রত্যাশিত ভাবেই এ নিয়েও মুখ খোলেননি ‘পরিণীতা’-র ললিতা। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, বিয়ে হচ্ছে সাবেক রীতি মেনেই। বিদ্যা তামিল। তাঁর হবু স্বামী অবশ্য পঞ্জাবি। তাই দু’ধরনের রীতি মেনেই বিয়ে হবে। বিদ্যা-ঘনিষ্ঠরা জানালেন, কনে বাড়ির ব্যস্ততা এই মুহূর্তে তুঙ্গে। মঙ্গলবারই বিদ্যার বাড়িতে ‘সঙ্গীত’-এর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তাতে বলিউডে বিদ্যার হাতেগোনা কয়েক জন বন্ধুও নিমন্ত্রিত। তবে আসল চমক অন্য জায়গায়। বিদ্যা-ঘনিষ্ঠদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার সঙ্গীত অনুষ্ঠানে নিজেরই ছবি ডার্টি পিকচারের ‘উ লা লা’ গানের সঙ্গে নাচবেন রুপোলি পর্দার সিল্ক। ক্লাইম্যাক্সে হয়তো আরও বড় চমক থাকতে চলেছে। যদিও সেটা কী, ভাঙছেন না বরপক্ষ বা কনেপক্ষ কেউই। অগত্যা জল্পনাই সম্বল। সমালোচকদের অবশ্য ধারণা, অনেক আগেই এই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে সিদ্ধার্থের দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের শুনানিতে দেরি হওয়াতেই পিছিয়ে যায় বিয়ের তারিখ। যদিও বলিউডের অন্দরমহলের একাংশের দাবি, প্রথম থেকেই বিয়ের জন্য এই তারিখটি ঠিক করেছিলেন বিদ্যা-সিদ্ধার্থ। এ জন্য নাকি নিজের আগামী ছবি ‘ঘনচক্করে’র শ্যুটিং-এর সূচিও এমন ভাবে তৈরি করেছিলেন বিদ্যা যাতে কি না ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কোনও শ্যুটিং না থাকে। উল্লেখ্য, এই ছবির প্রযোজকও ইউটিভি। সে ক্ষেত্রে শ্যুটিং-এর সূচি পরিবর্তনের ব্যাপারে সিদ্ধার্থর ‘অবদান’ থাকতেই পারে, ধারণা একাংশের। দুইয়ে দুইয়ে চার যে হয়েই যাচ্ছে। তবে এত কিছু সত্ত্বেও বিদ্যার বাঙালি-প্রীতি কিন্তু আজও নিখাদ। কেন? জনশ্রুতি, ‘কহানি’র নায়িকার বিয়ের পোশাক ডিজাইন করছেন এক বিশ্ব-বাঙালি। তিনি সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। নিজের ‘বং হ্যাংওভার’ তা হলে কাটিয়ে উঠতে পারলেন না বিদ্যা বালন। কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন যে বাংলায়, প্রায় চুপিসাড়ে আয়োজন করা বিয়েতেও তাকে ভোলেননি বিদ্যা।