চলতি মাসে হরতালের কারণে বিআরটিসির প্রায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতি!
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ চলতি ডিসেম্বর মাসে জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও বাম দলের ডাকা হরতালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। ডিসেম্বরের ৪ ও ১১ তারিখে জামায়াতে ইসলামী, ৯ তারিখে বিএনপির, ১৮ তারিখ বাম দলগুলোর হরতালে বিআরটিসি’র রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯০ টাকা। শুধুমাত্র বাস বন্ধ থাকায় এ ক্ষতি হয়েছে বিআরটিসির। একই সময়ে বিভিন্নস্থানে বিআরটিসি গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় বিআরটিসির ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে গাজীপুর ও চট্টগ্রামে দুটি ডাবল ডেকার বাস (দ্বিতল) পুড়িয়ে দেয়ায় ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৭০ হাজার টাকার মতো। হরতালে ক্ষতি সম্পর্কে বিআরটিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) খান কামাল উদ্দিন বলেন, ‘হরতালে বাস বন্ধ থাকায় প্রতিদিন যে লাভ হওয়ার কথা সেটা হয় না। শ্রমিক-ড্রাইভারসহ জনশক্তি খরচ অপরিবর্তিত থাকে। এছাড়া বাসের নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রতিদিনকার অপচয় (যে কোন পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ওপর প্রতিদিনকার মূল্য) রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘হরতালে এসব নিয়মিত আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের কারণে বিশাল অংকের লোকসান গুনতে হয়। হরতালে এখন গাড়িতে আগুন লাগাতে সাধারণ পেট্রোল ব্যবহার করা হয় না। গান পাউডার কিংবা তীব্র দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন লাগানো হয়। ফলে অগ্নিকান্ডের শিকার গাড়িগুলো একেবারেই অকেজো হয়ে যায়। যেমন, গাজীপুরে পুড়ে যাওয়া ডাবল ডেকার (দ্বিতল) বাসটির ইঞ্জিন পর্যন্ত গলে গিয়েছিল।’ পথচারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের ৩য় বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর অসুস্থ সংস্কৃতির কারণে দেশের সম্পদ নষ্ট হওয়াটা দুঃখজনক। হরতালে শুধু যানবাহনের ক্ষতিই হয় না। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের সঠিক গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতি করা দরকার। যাতে এর ক্ষতি জনগণকে শোধ করতে না হয়।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মতিঝিল ডিপোতে ২৬টি এসি বাস ও ৩৮টি ডাবল ডেকার, কল্যাণপুরে ৮৩টি ডাবল ডেকার, জোয়ারসাহারাতে ৫৫টি ডাবলডেকার ও ৩০টি এসি বাস, মিরপুর ডিপোতে ৪৯টি ডাবল ডেকার ও ১৯টি এসি বাস এবং ১০টি স্কুল বাসসহ মোট ৬৬০টি বিআরটিসি বাস রয়েছে। এছাড়া দেশের ২০টি ডিপোতে মোট বিআরটিসি বাস আছে ১ হাজার ১১০টি।