জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র শীতেও বাজারে আগুন!
রুপম হালদার,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে রাজধানীতে মুরগির দাম বেড়ে গেছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা। একই সঙ্গে আলুসহ সবরকম সবজির দামও বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা করে। তবে কয়েকটি নিত্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি দুই থেকে চার টাকা। শীত মৌসুমে উৎপাদন কম থাকায় মুরগির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে সবরকম সবজি ও অন্যান্য নিত্য পণ্যের দাম বাড়ার পিছনে পরিবহন খরচ ও সরবরাহ কম থাকাকে দায়ী করছেন তারা। আবার পণ্য বহনে শ্রমিকদের মজুরি, ভ্যানভাড়া, ১০ শতাংশ আড়তদারি ও দালালদের লাভের দৌরাত্বের কারণে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে খুচরা ব্যবাসয়ী। বাজারের এমন অস্থিরতায় হতাশ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। রাজধানীর মগবাজারে পণ্য কিনতে আসা সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম যেহারে বাড়ছে সেহারে আমাদের আয়ের মাত্রা বাড়ছে না।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে এদেশে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের থাকার অধিকার হারিয়ে যাচ্ছে।’ রাজধানীর ফকিরাপুল, মগবাজার, কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন আলু পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলেও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা। একইভাবে বেড়েছে টমোটো, কাঁচামরিচ, পাতাকপি, ফুলকপিসহ প্রায় সবধরনের সবজির দাম বেড়েছে। টমোটো কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। পিঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, শশা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা রাখছে কেজি প্রতি। এছাড়া কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমানে পণ্যটির দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। আগুন লেগেছে বেগুনেও, দাম ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। কপি পাওয়া যায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস। আদা ৮০ টাকা, রসুন দেশি ৬০ বিদেশি ৮০ টাকা কেজি। মুরগির দাম দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। কয়েকদিনের মধ্যে আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ফকিরাপুল বাজারের সাথী ব্রয়লার হাউজের মালিক শামীম আহমেদ। বেড়েছে ডিমের দামও। হালি প্রতি মুরগির দাম রাখছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। তবে গরুর ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চালের বাজার উর্ধ্বমুখী লক্ষ্য করা গেছে। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে মিনিকেটের দাম দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৪৩ টাকা, নাজিরশাইল নতুন ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পুরাতন ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, লতা ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা, আর মোটা চাল স্বর্ণাপারি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। ডাল, তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ বড় কেজি প্রতি দাম রাখছে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কই ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছের দাম গড়পড়তা কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।