গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে ছাত্র ভর্তিতে দূর্নীতির অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে ভর্তির জন্য শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা ভবনের মহাপরিচালক (ডিজি’র) জন্য কোটার নামে অবৈধ ভর্তির চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম তালিকা থেকে ভর্তি শেষ হবার পর অপেক্ষমান তালিকা স্কুলের নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেয়ার নির্দেশ থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে তা করেননি হেডমাস্টার মো. আবু সাঈদ ভুইয়া। প্রথম শ্রেণিতে ভতির জন্য লটারি ও অন্যান্য শ্রেণিতে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি করা ভর্তি তালিকার ওলটপালট করে ভর্তির জন্য অবৈধ তালিকা তৈরি করে ক্ষমতাশীল একজন এমপি ও একজন প্রতিমন্ত্র্রীর নাম ব্যবহার করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও একজন এমপি ৪ জনকে ভর্তির সুপারিশ করলেও হেডমাস্টার টাকার বিনিময়ে ভর্তি করেছেন ২০ জনের মতো। বিভিন্ন মিডিয়ায় এ নিয়ে খবর প্রচার ও প্রকাশ হলেও কোনো তদন্ত কমিটি কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) সজল কান্তি মন্ডল ও সহকারি পরিচালক সাখায়েত হোসেন বিশ্বাসের সহযোগিতা পেয়ে আসছেন আবু সাঈদ ভুইয়া। তিনি জানান, এ সপ্তাহ থেকে হেডমাস্টারের সিন্ডিকেট তৎপর হয়েছে অপেক্ষমান তালিকা না টাঙ্গিয়ে কয়েকজন ভর্তিচ্ছুর অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের কাছে বলা হয়েছে, ডিজি ম্যাডাম নতুন এসেছেন তাঁর জন্য কয়েকটি আরা সচিব স্যারের কয়েকটি ভর্তি করতে হবে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, একজন প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে ফোন করানো হয়েছে ডিজিকে। জানতে চাইলে আবু সাঈদ ভুইয়া বলেন, আমার জানা ছিলো না অপেক্ষমান তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দিতে হয়। একটা ভুলে বোঝাবুঝি হয়েছিলো। শিক্ষা অধিদপ্তরের মহপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনিও জানতে পেরেছেন যে তার নাম ও সচিবের নাম ভাঙিয়ে হেডমাস্টার কয়েকটা অবৈধ ভর্তি করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি বলেন, হেডমাস্টারকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।