তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে জাতীয় পার্টির সমর্থন থাকবেঃ এরশাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ধূমপান ও তামাকের কারণে যেহেতু মানুষের মৃত্যু হয়, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তাই তামাকজনিত মৃত্যুরোধ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে জাতীয় পার্টির সমর্থনের ব্যক্ত করেন জাপা প্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। ২৪ জানুয়ারী বেলা ১ টায় জাতীয় পার্টি এর বনানীস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদলকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে আমাদের ভূমিকা সবসময় জোরালো। এ বিষয়ে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে সমর্থন প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদল বলেন, বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ এ চর্বনযোগ্য তামাক অন্তভুর্ক্ত নয় বিধায়, এ সকল পন্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি বিদ্যমান লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কবানী নিরক্ষর লোকের জন্য সুবিধাজনক নয় বিধায় তামাকজাত দ্র্েব্যর মোড়কে সচিত্র সর্তকবানী প্রদান করা প্রয়োজন। এ সকল বিষয় আইনে সংশোধনের মাধ্যম্যে সম্পৃক্তকরণে সাবেক রাষ্ট্র প্রধান এবং জাতীয় পার্টির সম্মানিত সংসদ সদস্যকে বলিষ্ট ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়। তামাকের কারণে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়-এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই। সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য আইনের অন্তভুর্ক্তকরণ, পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি, প্যাকেটের গায়ে স্বচিত্র স্বাস্থ্য সর্তকবানী প্রদাণ, তামাকজাত দ্রব্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিজ্ঞাপন বন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন সৃষ্টিতে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এর সাথে স্বাক্ষাৎকারে এ সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-র উক্ত প্রতিনিধি দলে ছিলেন নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সাঈদ রানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রশাসনিক পরিচালক গাউস পিয়ারী মুক্তি, ন্যাশনাল এডভোকেসী অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান এবং মিডিয়া এডভোকেসী কর্মকর্তা সাইফুল আলম প্রমুখ।