শৈত্য প্রবাহের ছোবলঃ শীতজনিত রোগ বাড়ছে
রুপম হালদার,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দেশের উপর দিয়ে আবার বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশগুলোতে এবার লেগেছে শৈত্য প্রবাহের ছোবল। এর প্রভাবে বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে দেশের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে ও বিকালে কুয়াশা পড়ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতে বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও দরিদ্র মানুষের কষ্ট বেড়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ একদিকে যেমন ঘর থেকে বেরুতে পারছে না, অন্যদিকে কাজের সংস্থান কমে গেছে। এতে করে তাদের জীবন যাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। শীতের কারণে বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের শীতজনিত রোগ। হাসপাতালগুলোতেও এই ধরনের রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ২৬ জানুয়ারী (শনিবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহ আরো ২ দিন থাকতে পারে। এর মাধ্যমে চলতি মওশুমের শীত বিদায় নেবে। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মৌসুমী লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই সময়ে বৃষ্টির কারণে শীত আবার সামান্য বাড়তে পারে। তবে তা স্থায়ী হবে না। আবহাওয়াবিদরা জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ঘনীভূত হতে আরো সময় লাগবে। ফলে আপাতত এর কোন প্রভাব অনুভব করা যাবে না। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাংশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।