শাহবাগের মহাসমাবেশে দাবীঃ সব যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড এবং জামায়াত নিষিদ্ধকরণ
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ শাহবাগের মহাসমাবেশ থেকে ৭১ এর সব যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড এবং জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে জামায়াত নেতাদের নাগরিকত্ব বাতিল ও ইসলামী ব্যাংককে জাতীয়করণের দাবি তোলা হয়। এছাড়া এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়ে রাজপথে ও অনলাইনে সোচ্চার থাকার দৃঢ় শপথ নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মহাসমাবেশের পরও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আয়োজকরা। ৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় শাহবাগের মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র-যুবার-সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনে এ ঘোষণা দেন ব্লগার ইমরান এইচ সরকার। মহাসমাবেশে উপস্থিত লাখো জনতাকে হাত উপরে তুলে শপত পাঠ করান তিনি। ইমরান বলেন,‘৭৫ পরবর্তী যে সব যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সবাইকে আবারও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু করতে হবে।’ শপথে বলা হয়, ‘একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার, আলবদর, আলশামস, গণহত্যা ও ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত এ গণমানুষের মঞ্চ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’ জামায়াতে ইসলামীকে সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ইমরান বলেন,‘ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস, রেটিনাসহ তাদের অর্থে পরিচালিত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বয়কট করতে হবে।’ একই সঙ্গে জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত গণমাধ্যমগুলোকেও বর্জন করার শপথ নেয় লাখো জনতা। সারাদেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেয়ার কারণে জামায়াতের নেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দ্রুত আটকের দাবি করাও হয় এ সমাবেশ থেকে। এ কর্মসূচি চলছে, চলবে বলেও জানান ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের এ আহ্বায়ক। এছাড়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও মো. কামারুজ্জামানের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে মহাসমাবেশে উপস্থিত ছাত্রজনতা। একই সঙ্গে সমাজ, রাষ্ট্র ও সংবাদমাধ্যমের সব ক্ষেত্র থেকে জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের বর্জন করার মধ্য দিয়ে নতুন আন্দোলনের আহ্বান জানান তারা।