সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবীতে ১১ মার্চ গণমাধ্যমে ধর্মঘট
রুপম হালদার,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১১ মার্চ (সোমবার) সকাল ৬টা থেকে পরের দিন ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পত্রিকা, সংবাদ সংস্থা, অনলাইন পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিওসহ সকল গণমাধ্যমে ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই দাবিতে ১১ মার্চ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে সাংবাদিক সমাজ। এ ছাড়া নিহত সাংবাদিকদের পরিবার নিয়ে গণঅনশন অনুষ্ঠিত হবে। বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এই হত্যার বিচার দাবিতে সাংবাদিক মহাসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকালে রাজধানীর তোপখানা সড়কে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। কর্মসূচি ঘোষণার আগে সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আজকের এই দিনটি একদিকে শোকের আরেকদিকে প্রতিবাদের। এ দেশের সাংবাদিক সমাজ গত এক বছর ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন করছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি। এখনো আমরা আশা করি, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বিজয় আসবে। অন্য কোনো পেশাজীবী নিহত হলে তার বিচার হচ্ছে কিন্তু সাংবাদিক নিহত হলে তার কোনো বিচার হচ্ছে না। তাহলে কি আইনের শাসন থাকে। তিনি আরো বলেন, আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন, হত্যাকারী যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে।’ কিন্তু সেই ঘোষণার দীর্ঘ এক বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এখন আমাদের প্রশ্ন এই হত্যাকারীরা কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাশালী। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যদি সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকেও গ্রেফতার করতে হবে। শুধু গ্রেফতার করলেই হবে না এই খুনের মোটিভ সাংবাদিকসহ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। ইকবাল সোবহান বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ ইতোমধ্যে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছে। এর পর র্যাব গত ১০ মাস ধরে তদন্ত করছে। এখনো তারা বলছে, আরো সময় দরকার। র্যাব যদি এই তদন্ত শেষ করতে না পারে তাহলে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে না পারার ব্যর্থতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিতে হবে। সাংবাদিকরা এখন ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে সাংবাদিকদের মধ্যে অনেক বিভেদ ছিল। সাগর-রুনির রক্তের উপর দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিলাম বিশ্বাষঘাতকতা করব না। সেই শপথের আলোকে এক বছর আন্দোলন করে যাচ্ছি। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থেকে মুক্ত গণমাধ্যম চলতে পারে না। যারা ঐক্যের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।