গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতাল প্রতিহত করা
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ইসলামী দলের আড়ালে জামায়াত-শিবিরের হরতাল প্রতিহত করার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে। শুক্রবার রাত সোয়া এগারোটায় এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী ডা. ইমরান এইচ সরকার।
শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুম্মার নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব, জাতীয় পতাকা ও শহীদ মিনার অবমাননা এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ মিছিল বের হবে। একই সঙ্গে এদিন বিকেল ৩টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে রায়েরবাজার বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা হাতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ডা, ইমরান জানান, ‘‘রোববার জামায়াত-শিবির ইসলামী দলের নামে যে হরতাল দিয়েছে, তা প্রতিহত করা হবে। সর্বস্তরের জনতাকে নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চ ও গণআন্দোলনকারীরা রাজপথে থাকবেন।’’ শুক্রবারের তাণ্ডব ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক সহিংসতায় উস্কানি দেয়ায় দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম তিনি পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বর। শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুম্মার নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের হামলার পর দুপুর থেকেই মানুষের জমায়েত বাড়তে থাকে শাহবাগ এলাকায়। দুপুরে কাঁটাবন মোড়ে জামায়াত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এর পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকটি মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে সাধারণ মানুষ যোগ দিতে শুরু করলে আস্তে আস্তে ছাত্রলীগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে যোগ দেন। গণজাগরণ মঞ্চের ব্লগাররাও যোগ দেন এখানে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মাইক দিয়ে আবারো শুরু হয় স্লোগান। সমাবেশ থেকে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের হামলার তীব্র নিন্দা এবং তাদের প্রতিহত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাদুঘরের সামনে বাড়তে থাকে মানুষের অংশগ্রহণ। এদিকে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ দিন টানা গণঅবস্থান চালিয়ে গণআন্দোলন চলে। ২২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) মূল গণজাগরণ চত্বর ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে শুরু হয় গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। শুক্রবারের জামায়াতি তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে ফের টানা অবস্থান করে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে।