মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স বাড়ছে
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ক্ষেত্রকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে এবং মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স বাড়াতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চূড়ান্ত করা এ সংক্রান্ত দুটি রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) পরিসংখ্যান বিল-২০১৩ এর রিপোর্ট উত্থাপন করেন পরিকল্পণা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংমদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ. এন. আশিকুর রহমান এবং পাবলিক সার্ভেন্ট (রিটায়ার্ডমেন্ট) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৩ এর রিপোর্ট উত্থাপন করেন জন প্রশাসন মন্ত্রণাণয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি খন্দকার আসাদুজ্জামান। সংশোধিত পরিসংখ্যান বিলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ-সংস্থা পরিসংখ্যান প্রণয়ন করে না সেসব বিষয়ে ব্যুরো পরিসংখ্যান প্রস্তুত করবে। ১৯৭৪ সালের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিলুপ্তের কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা, কৃষি, শিল্প, জনমিতি, অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক বিষয়, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, সংক্রান্ত সঠিক ও নির্ভুল পরিসংখ্যান কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। বিলে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৪ সালে তিনটি ভিন্ন সংস্থাকে একীভূত করে পরিকল্পনা ব্যুরো সৃষ্টি করা হলেও আজ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের কাজ সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর আওতায় ন্যস্ত হয়নি। বিভিন্ন সময়ে আদমশুমারি ও গৃহ গণনা সম্পর্কিত প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ ৭০/১৯৭২ দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পরিসংখ্যান ক্ষেত্রে একটি আইনি শূন্যতা বিরাজমান। এই শূন্যতা নিরসন করতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে। পাবলিক সার্ভেন্ট (রিটায়ার্ডমেন্ট) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিলে মুক্তযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবসরের বয়স একবছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভেন্ট (রিটায়ার্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর সেকশন ৪-এ-এর বিধান মতে, সরকারি চাকরিতে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা গনকর্মচারিরা ৫৯ বছর বয়স পূর্তিতে অবসর গ্রহণ করেন। আইনটি সংশোধন করে এসব কর্মচারিদের অবসরের বয়স ৬০ বছর এবং অবসর উত্তর ছুটি ভোগরত কর্মচারিদের পুণরায় যোগদানের বিধানটি বিলুপ্ত করে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশটি আইনে পারিণত করতেই এই বিলটি উপস্থাপন করা হলো।